সংক্ষিপ্ত
দুই বছর ধরে দেহরক্ষীর সঙ্গে চলছিল পরকিয়া
দুবাইয়ে লুকিয়ে, বাইরে গেলে খুল্লামখুল্লা
প্রেমিকের মুখ বন্ধ রাখতে দিয়েছিলেন ১২ কোটি টাকা
ফাঁস হল দুবাইয়ের বাদশা শেখ মহম্মদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী শাহজাদী হায়ার
ভারতীয় মুদ্রায় ১২ কোটি টাকা! সঙ্গে ১২ লক্ষ টাকার ঘড়ি, ৪৯ লক্ষ টাকার ভিন্টেজ শটগান-সহ আরও কত বিলাসবহুল উপহার। এসবের বিনিময়েই তাঁর ব্রিটিশ দেহরক্ষীর মুখ বন্ধ রেখেছিলেন দুবাইয়ের বাদশা শেখ মহম্মদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী শাহজাদী হায়া। ওই দেহরক্ষীর সঙ্গেই প্রায় দুই বছর ধরে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যার জেরে ভেঙে গিয়েছিল তাদের দুজনেরই পরিবার। সোমবার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেল-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ২০১৬ সালে দুবাইয়ের বাদশার স্ত্রী তথা জর্ডনের প্রয়াত রাজার মেয়ে শাহজাদী হায়ার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন রাসেল ফ্লাওয়ার নামে ওয়েলস-এর রয়্যাল রেজিমেন্টের এক প্রাক্তন সদস্য। সেই বছরই ৩৭ বছরের সেই দেহরক্ষীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ৪৬ বছরের হায়া। দুজনে মিলে একসঙ্গে বহু বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। দুবাইয়ে যা ছিল চুপকে চুপকে, বিদেশে গেলেই তা হত খুল্লামখুল্লা। ফ্লাওয়ারের এক বন্ধুর স্ত্রী জানিয়েছে ব্রিটেনে থাকাকালীন প্রায় প্রতি রাতেই দুজনে বিভিন্ন পাব, নাইটক্লাব-এ ঘুরে বেড়াতেন। ফ্লাওয়ার কোনওদিন রাত পার করে ভোরে বাড়ি ফিরতেন, কোনওদিন ফিরতেনই না।
দুবাইয়ের বাদশার সঙ্গে শাহজাদী হায়া
তবে শাহজাদীকে তাঁর দেহরক্ষী সঙ্গে সম্পর্ক বাদশার থেকে চেপে রাখতে কম খরচ করতে হয়নি। দুবাইয়ের শাহি পরিবারের আরও তিন দেহরক্ষীও তাঁদের অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন। প্রেমিক দেহরক্ষীকে যেমন একের পর এক দামি উপহার দিতেন, হায়া তেমনই ওই তিন দেহরক্ষীর মুখ বন্ধ রাখতেও ১২ কোটি করে অর্থ প্রদান করেছিলেন। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ২০১৮ সালে বাদশা শেখ মহম্মদ আল মাকতুম বিষয়টি জেনে ফেলার পরই শাহজাদী হায়া তাঁর দুই সন্তান-কে নিয়ে দুবাই থেকে লন্ডনে পালিয়ে এসেছিলেন। বিচ্ছেদও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - নগ্নপ্রায় ব্রাজিলিয় সুন্দরীর ছবিতে 'লাইক' দিলেন পোপ, তদন্তে নামল ভ্যাটিকান
আরও পড়ুন - প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা, শিরোনামে এসেছিলেন 'বাংলা ছেড়ে পালা' স্লোগানে
আরও পড়ুন - বিজেপির শাসনে কি পুরো পাকিস্তান দখল করবে ভারত, ফড়নবিসের মন্তব্যে উঠল বিতর্কের ঝড়
তবে, একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল ফ্লাওয়ারের জীবন। হায়ার প্রেমে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর কাছে কিছু গোপন করার চেষ্টাও করেননি তিনি। যার জেরে ভেঙে গিয়েছে তাঁদের চার বছরের পুরোনো বিয়ে। ফ্লাওয়ারের স্ত্রী জানিয়েছেন, হায়া, রাসেল ফ্লাওয়ারকে অর্থ, উপহার ও আরও অনেককিছু দিয়ে প্ররোচিত করেছিলেন। একেবারে মাধথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলন। অনেকদিনের চেনা ফ্লাওয়ার হঠাতই তাঁর কাছে অচেনা হয়ে গিয়েছিল।
লন্ডনের রাস্তায় শাহজাদী হায়া
সম্প্রতি লন্ডনে শেখ মাকতুম এবং হায়ার দুই সন্তানের অধিকার সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এইসব কেচ্ছা ফাঁস হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের ১১ বছরের মেয়ে এবং ৭ বছরের পুত্রের অধিকার পেয়েছেন শাহজাদী হায়াই। এখন তিনি সন্তানদের নিয়ে লন্ডনের কেনসিংটনে প্রায় সাড়ে আটশ কোটি টাকার একটি বাড়িতে থাকেন। ধরা পড়ার পর রাসেল ফ্লাওয়ার-এর সঙ্গে দুই বছরের সম্পর্ক নিয়ে তিনি অনেককিছুই অস্বীকার করেছেন।