তিনি আর নেই, তবে কাল সীমানার গন্ডি পেরিয়েও তিনি অবিস্মরণীয়। তার সৃষ্টির মধ্যেই চিরকাল বেঁচে থাকবেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মৃত্যুতে গোটা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি। সৌমিত্রর মৃত্যু গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। বিনোদন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়ে প্রমাণ করে দিলেন তার অভিনয় কীভাবে ম্যাজিক তৈরি করতে পারে পর্দায়। গতকাল মুক্তি পেয়েছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা দত্তর পরিচালিত ছবি বেলাশুরু। আর এই ছবিতেই বুঝিয়ে দিলেন তার যোগ্য এই ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ নয়। অন্যদিকে সৌমিত্রর বিপরীতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয় যেন গায়ে কাঁটা দেয়। তাদের নিয়ে যতটা বলা হবে ততটাই যেন অনেকটা কম। বাংলার বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব তথা সত্যজিতের বিমলা স্বাতীলেখা সেনগুপ্তও আর নেই। ছবি মুক্তির আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। তবে চলে গিয়েও সকলকে যেন আরও একবার নাড়িয়ে দিয়ে গেলেন এই জুটি।
তিনি আর নেই, তবে কাল সীমানার গন্ডি পেরিয়েও তিনি অবিস্মরণীয়। তার সৃষ্টির মধ্যেই চিরকাল বেঁচে থাকবেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মৃত্যুতে গোটা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি। সৌমিত্রর মৃত্যু গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। বিনোদন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়ে প্রমাণ করে দিলেন তার অভিনয় কীভাবে ম্যাজিক তৈরি করতে পারে পর্দায়। গতকাল মুক্তি পেয়েছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা দত্তর পরিচালিত ছবি বেলাশুরু। আর এই ছবিতেই বুঝিয়ে দিলেন তার যোগ্য এই ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ নয়। অন্যদিকে সৌমিত্রর বিপরীতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয় যেন গায়ে কাঁটা দেয়। তাদের নিয়ে যতটা বলা হবে ততটাই যেন অনেকটা কম। বাংলার বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব তথা সত্যজিতের বিমলা স্বাতীলেখা সেনগুপ্তও আর নেই। ছবি মুক্তির আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। তবে চলে গিয়েও সকলকে যেন আরও একবার নাড়িয়ে দিয়ে গেলেন এই জুটি।
সত্যজিৎ রায়ের বিমলা-র পর থেকেই সৌমিত্র-স্বাতীলেখা জুটিকে মনে ধরেছিল দর্শকদের। দীর্ঘ ৩১ বছর পরে সেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পর্দায় ফিরেছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা দত্তর পরিচালনায় শেষবয়সেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেলাশেষে সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। দীর্ঘ এতগুলো বছর পরেও সৌমিত্র-স্বাতীলেখার জমাট রসায়ন এতটাই আপ্লুত করেছিল দর্শকদের যে ফের বেলাশুরু ছবিতেও একসঙ্গে জুটি বেধে ইতিহাস তৈরি করলেন তারা। স্মৃতি হারিয়ে রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন নিজেকেই চিনতে পারছে না আরতি তখন যেন নিজেকে দেখেই শিউরে উঠছেন কারণ তার স্মৃতি পড়ে রয়েছে যৌবনকালে। এই ভয়ঙ্কপ অভিনয়ে গায়ে কাটা দিয়েছে দর্শকদের। সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার ঐতিহাসিক অভিনয় হয়ে থাকবে বাংলা ছবির সম্পদ। বেলাশুরু দেখে অনেকেই বলছেন সত্যজিতের বিমলাকে ছাপিয়ে গেল বেলাশুরুর আরতি। তার এই অভিনয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনয় হিসেবে দাগ কাটল দর্শকদের।
সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা ছাড়া ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা, মনামী ঘোষ, ইন্দ্রাণী দত্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ ,খরাজ মুখোপাধ্যায়ও অনবদ্য অভিনয় করেছেন। মেজো মেয়ে ঋতুপর্ণাকে সমপ্রেমী ছেলের সঙ্গে ভুল করে বিয়ে দেয় সৌমিত্র। যা জানতে পেরেই মেয়েকে ডিভার্স দিতে বলে সৌমিত্র। কিন্তু মেয়ের একটাই উত্তর যা ভুল হওয়ার হয়ে গেছে। কামনা-শরীর এসবের বাইরেও দাম্পত্যের প্রধান সূত্রই হল বন্ধুত্ব। আর তুমি যৎন অ্যালঝাইমার্স রোগী মাকে ডিভোর্স দিচ্ছ না। তাহলে আমাকেও এই সমকামী স্বামী দেখব। খরাজ ও অপরাজিতার অনবদ্য অভিনয় নজর কেড়েছে আগের ছবির মতোই। অন্যদিকে মনামী ও অনিন্দ্যর কেমিস্ট্রি দারুণ মন কেড়েছে। অনুপম রায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় শ্রেয়া ঘোষাল ও কবীর সুমন জাস্ট জমিয়ে দিয়েছে। আর 'টাপা টিনি'-র কথা নতুন করে বলার কিছু নেই নেই। 'বেলাশুরু'-র বিখ্যাত গান 'টাপা টিনি'-র তালে কোমর দোলায়নি এমন মানুষের সংখ্যা যেন হাতে গোনা। সব মিলিয়ে বেলাশুরু যেন অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেল সকলকেই। তবে বেলাশুরুর থেকে বেলাশেষ যেন অনেক বেশি পরিণত ও স্পর্শকাতর। যারা বেলাশেষে শুরু দেখেননি এখনও তারাও বেলাশুরু দেখতে পারবেন, এ ছবির হৃদয়ের, এ ছবি ভালবাসার কারণ একটা সময়ের পর শরীর থাকে না আকর্ষণ থাকে না, থেকে যায় বন্ধুত্ব-এখানেই বেলাশুরু-র সার্থকতা।
আরও পড়ুন-লাস্যে ভরা মাখনের মতো শরীরে উপচে পড়ছে যৌনতা, কিলার লুকে আগুন জ্বালালেন নুসরত
আরও পড়ুন-ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য