- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য
ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য
টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নয়া নয়া রহস্য দানা বাঁধছে। শুরু থেকেই পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। পল্লবীকে খুন করেছেন তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, সোমবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ গড়ফা থানায় দায়ের করলেন মৃত অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে। পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনারকে জেরা করে পুলিশ। গড়ফা থানায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের সামনেই গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় সাগ্নিককে । যেখানে উঠে এল নানা ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য, কী জানা গেল জেরা থেকে জানলে চমকে যাবেন।
| Published : May 17 2022, 12:01 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সময় যত এগোচ্ছে ততই যে পল্লবীর মৃত্যু মামলা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মৃত্যু রহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। শুরু থেকেই পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। পল্লবীকে খুন করেছেন তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, সোমবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ গড়ফা থানায় দায়ের করলেন মৃত অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে।
লিখিত অভিযোগে পল্লবীর বাবা জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে অভিনেত্রীর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। আজই গরফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রীর বাবা ও মা। তাদের পরিবারের আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন এদিন।
পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। যেভাবে সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে পল্লবী ততটা উচ্চতায় ওঠার মতো কোনও কিছুই ছিল না ঘরে। মৃত্যু রহস্য জট ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জেরা করছে পুলিশ পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে যেই ফ্ল্যাটে থাকতেন সাগ্নিক ও পল্লবী সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এবং অভিনেত্রীর মোবাইল ফোনও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পুলিশের তল্লাশিতে উঠে এসে নতুন তথ্য, যা শুনেই চোখ কপালে উঠেছে। পল্লবীর এবং সাগ্নিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গাঁজা, হুক্কা সহ নেশার বিভিন্ন দ্রব্য। এবং আরও জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে শেষ ফোন বাড়ির পরিচারিকাকেই করেছিল পল্লবী। তবে তাদের মধ্যে কী নিয়ে কথোপকথন হয়েছিল তা জানা যায়নি।
অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনারকে জেরা করে পুলিশ। গড়ফা থানায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের সামনেই গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় সাগ্নিকেক। যেখানে উঠে এল নানা ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা নিয়ে রহস্য বাড়ছে।
খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পুরো সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতের বেলায় গড়ফা থানায় হাজির ছিলেন কলকাতা ডেপুটি কমিশনার। তার সামনেই নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সাগ্নিককে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পল্লবী ও সাগ্নিক মিলে কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। গভীর রাতের জেরায় সেই সম্পর্কে সাগ্নিকের কাছে বিশদ তথ্যও জানতে চাওয়া হয়। এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও ডিটেলস চাওয়া হয়।
আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে কি বচসা তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে সাগ্নিককে। একাধিক পরকীয়ায় জড়িত সাগ্নিক,তা নিয়ে পল্লবীর সঙ্গে বিবাদ হতো এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরের জবাব দিতে হয়েছে সাগ্নিককে। কারণ পল্লবীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিত সাগ্নিক, তেমনটাই দাবি অভিনেত্রীর পরিবারের।
সাগ্নিকের একাধিক সম্পর্ক জেনেও তার সঙ্গে রিলেশনশিপে ছিলেন পল্লবী। পুলিশি জেরায় সাগ্নিক জানিয়েছেন, তিনিও চেয়েছিলেন পল্লবীর সঙ্গে থাকতে। এমনকী আগের বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসেত বিবাহবিচ্ছেদের আইনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন সাগ্নিক। তবে কে এই নির্মম পরিণতি? বয়ফ্রেন্ডের একাধিক নারীসঙ্গই আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিল পল্লবীকে, তেমনটাই মনে করছেন কাছের মানুষরা।