পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা। করোনাকালে পুজোর রং ফিকে হলেও দেবীপক্ষের সূচনায় মহালয়ায় দশভুজার অবতারে সামনে এলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। দীর্ঘ দিনের অসুস্থতার পর মা দুর্গার রূপে প্রকাশ্যে এলেন বাঙালি অভিনেত্রী।
৬ অক্টোবর মহালয়া। পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়া হল এমন একটি দিন যেদিন পূর্বপুরুষদের বিদায় জানানোর পালা। পিতৃপক্ষের শেষে অমাবস্যা তিথিতে মহালয়া পালন করা হয়। এই অমাবস্যা তিথিকে আবার সর্বপিতৃ অমাাবস্যা কিংবা বিসর্জনী অমাবস্যা বলা হয়। এদিন তর্পণ করে পিতৃপুরুষদের বিদায় জানানো হয়। আজ থেকে দেবীপক্ষের সূচনা। করোনাকালে পুজোর রং ফিকে হলেও দেবীপক্ষের সূচনায় দশভুজার অবতারে সামনে এলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। দীর্ঘ দিনের অসুস্থতার পর মা দুর্গার রূপে প্রকাশ্যে এলেন বাঙালি অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-বিকিনি থেকে ব্রালেট, থলথলে চর্বি নিয়ে জলে ডুব শুভশ্রীর, বডি শেমিংকে বুড়ো আঙুল রাজ ঘরনির
পরণে লাল-সাদা শাড়ি, এক ঢাল খোলা চুল, মাথা ভর্তি সিঁদুর, হাতে -মাথায় পদ্ম- পাবর্তী রূপে সকলকে মুগ্ধ করেছেন অভিনেত্রী। জীর্ণ পুরাতন যাকে ভেসে যাক ভেসে যাক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানই যেন সাহস জুগিয়েছে অভিনেত্রীকে। সমস্ত রোগ-ব্যথি যাতে শেষ হয় সেই প্রার্থনাই করেছেন অভিনেত্রী। মা দুর্গার রূপে ছবি শেয়ার করে ঋতাভরী লিখেছেন, 'আজ শঙ্খে শঙ্খে মঙ্গলধ্বনি উঠেছে, কারণ, জননী এসেছে দ্বারে। গত এক বছরে আমাদের জীবনে যে বিপর্যয় ঘটেছে, রোগ মহামারী মৃত্যু বিচ্ছেদ কান্নায় পৃথিবীর আকাশ বাতাস ভরে উঠেছে, যে আতঙ্ক হয়েছে আমাদের নিত্য সঙ্গী, আজ তার অবসান হোক।মা, তুমি আমাদের জীবনের সব অশুভকে দূর করে দাও, সব অন্ধকারকে করে তোলো আলোময়!রোগভয়, মৃত্যুভয়, অশুভের ভয় থেকে মুক্ত হোক এই পৃথিবী। আনন্দময়ীর আগমনে আমরা আবার নতুন করে যেন বেঁচে উঠি। শুভ মহালয়া।'
লাল শাড়ি, কপালে চন্দন, হাতে প্রদীপ নিয়ে দশভুজার অবতারে নিজেকে সাজালেন ঋতাভরী। অন্ধকারকে দূর করে ভাল দিনের অপেক্ষায় তিনি। এই মহালয়াই তাকে নতুন আশা দেখাবে। সব কিছু আবার আগের মতন হবে। ভিডিও পোস্ট করে ঋতাভরী লিখেছেন, 'পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের শুরু। আজ সেই শুভ দিন।
আর কদিন পরেই অসুরনাশিনী অশুভের বিনাশকারিনী মা দুর্গার পুজোয় মেতে উঠব আমরা। গত এক বছরে আমাদের জীবনে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তার রেশ এখনো কাটেনি। যে করোনা অতিমারীর দাপটে আমাদের জীবনের সব স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হয়েছে, নষ্ট হয়েছে বহু সম্ভাবনা, শেষ হয়ে গেছে কত না জীবন, সেই অতিমারীকে আমরা অনেকটাই পরাস্ত করতে পেরেছি। কিন্তু নিশ্চিহ্ন করতে পারিনি।এখনো পৃথিবীর আকাশ বাতাসে শোনা যাচ্ছে আর্ত মানুষের কান্না।মা, তুমি আমাদের জীবনের সব অশুভকে দূর করে দাও, সব ভয় থেকে আমাদের মুক্ত করো।তোমার কল্যান হাতের ছোঁয়ায় লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় থেকে মুক্ত হোক এই পৃথিবী। তুমি মা আনন্দময়ী। তোমার এই শুভ আগমনে , এই দেবীপক্ষে আমরা আবার নতুন করে যেন বেঁচে উঠি।'