করোনা যেন এককথায় গ্রাস করেছে গোটা দেশকে। কোনওভাবেই যেন এই মারণ ভাইরাসকে রোখা যাচ্ছে না। একের পর এক দেশে হানা দিচ্ছে এই মারণ রোগ। কাতারে কাতারে বাড়ছে মৃত্য মিছিল। আপাতত লকডাউনই ভরসা। লকডাউনে সকলেই ঘরবন্দি। ঘরবন্দি দশায় সময় কাটাচ্ছেন ভার্চুয়াল মিডিয়াতে। আর এইভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরোনো অনেক কাছের মানুষকে খুঁজে পাচ্ছেন। ঠিক তেমনটিই হল গবেষক দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন-১৫ বছর পার, শাশুড়ি মায়ের আহ্বানেই রবি স্মরণে নৃত্য পরিবেশন মিথিলার...
কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর। একে অপরের থেকে অনেকটাই দূরে ছিল দীপ্ত বন্যা। লকডাউনই যেন সেই দূরত্বকে মুহূর্তে কাছের করে দিল। দীপ্ত ও বন্যা দুজনেই দুদেশে থাকে। হঠাৎই এক সকালে শান্তিনিকেতনের পুরোনো বান্ধবী বন্যার রবীন্দ্র সঙ্গীতে পুরো লকডাউনের আবহই যেন মুহূর্তে বদলে গেল দীপ্তর। লকডাউনের কারণেই ১৪ বছরের পুরোনো সম্পর্ক আবারও ফিরে পাওয়া। কীভাবে একে অপরকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে খুঁজে পেলেন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রথম ইন্দো-বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম 'দূরে থাকা কাছের মানুষ'। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটের গল্পের বুনন। প্রতিটি ফ্রেমে রয়েছে ভালবাসার আবহ। বিজ্ঞানী-গবেষক দীপ্ত লন্ডনে এই মারণ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন। আর অন্যদিকে বন্য সাংবাদিক ও গায়িকা। স্কাইপ ভিডিও কলের মাধ্যমেই জমে উঠেছে আড্ডা। আর ভিডিও কলেই কি কাছাকাছি আসতে পারবে দীপ্ত ও বন্যা।
আরও পড়ুন-মিশর রহস্যের থ্রো-ব্যাক ছবি শেয়ার সৃজিতের , কবে আসছে নতুন ফেলুদা...
অত্যন্ত মিষ্টি একটা প্রেম রয়েছে এর ভিতরে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ওরফে দীপ্ত এবং সৃজিত পত্নী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ওরফে বন্যা। পুরোটাই মোবাইলে শুট হয়েছে। পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার পলক। সহযোগী পরিচালক মুস্তাফি শিমুল। ছবির গল্প লিখেছেন অভ্র চক্রবর্তী। কলকাতার প্রযোজনা সংস্থা টিভিওয়ালা মিডিয়া ও ঢাকার প্রেক্ষাগৃহ ভিস্যুয়াল ফ্যাক্টরি প্রোডাকশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ইন্দো-বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম।সূত্র থেকে জানা গেছে বিনা পারিশ্রমিকেও এই শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন তারকার। এবং এই শর্টফিল্ম থেকে যে অর্থ সংগৃহীত হবে তা কলকাতা এবং ঢাকার সিনে শ্রমিকদের তহবিলে জমা করা হবে।