শঙ্খদীপ ও মোহরের শুভ পরিণয়। এই উত্তেজনা কেবল তাদের পরিবারেই নয় ছড়িয়েছে দর্শকমহলেও। অবশেষে মান অভিমানের পালা কাটিয়ে একে অপরের প্রেমে ডুব দিয়েছে মোহর এবং শঙ্খদীপ। বিয়ের প্রস্তুতির মাঝেই শঙ্খ, মোহরের কাছে নিজের প্ল্যানের বিষয় সমস্ত কথা খোলসা করে। তারপরই মোহরের রাগ ভাঙে। শঙ্খকে ফের আপন করে নেয় সে। এতদিন মোহরের ধারণা ছিল, শ্রেষ্ঠার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে শঙ্খ।
তবে এই পুরো বিষয়টিই যে শঙ্খর সাজানো ছিল তা এখন মোহরের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি মিটতেই ঘনিষ্ঠতায় মজেছে তারা। বিয়ের আগে পরস্পরের সঙ্গে একান্তে কাটাচ্ছে সময়। যেখানে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়ে এখন এসেছে প্রেমের পালা। প্রেমের মাঝেও শঙ্খ নিজের মনের কথা রাখল সামনে। নিজের অসম্পূর্ণ পরিবারের চিন্তা সে জানায় মোহরকে। জ্যাঠামশাই এবং তার মায়ের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তেই পরিবারটি পুরোপুরি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যা বহু বছর ধরে জোড়া লাগাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে শঙ্খদীপ।
মায়ের জেদের কাছে হার মানতে রাজি নয় জ্যাঠামশাইও। একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব তারা বাড়িয়েছে নানা ঘটনার জেরে। জ্যাঠামশাইয়ের সঙ্গে মোহরের কথা কাটাকাটিও এখন শঙ্খর সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তবুও শঙ্খর ইচ্ছে ভেঙে যাওয়া এই পরিবার আগের মত হয়ে যাক। এই কাজ সে না পারলেও তার বিশ্বাস মোহর পারবেই। তাই বিয়ের আগে সে মোহরের কাছে তার পরিবার এক করার সাহায্য চেয়ে বসে। দুজনের বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতাই কি মিটিয়ে দেবে পরিবারের মান অভিমান।