বিয়ে পর্ব শেষ করে আবার কাজের ময়দানে নেমে পড়েছেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে এবং সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরায় কট্টর মৌলবাদীদের সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে তারকা-সাংসদকে।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে নুসরতকে তাঁর বিয়ে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়। নুসরত বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীজি একবার বলেছিলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতাই ভারতের অন্যতম বৈশিষ্ট। আমাদের প্রজন্মে আমরা এগুলিই শিখে এসেছি। আমি হ্যাপিলি ম্যারেড। বিতর্ক তো হবেই। এইসবের সঙ্গে এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। এটাই বলব প্রত্যেকেরই নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার রয়েছে। অন্য ধর্মের কারোকে বিয়ে করা কোনও ভুল নয়। কারণ আমরা মানুষটাকে বিয়ে করি। ধর্ম অনেক পরে আসে। আমি একজন খুব ভালো মানুষকে বিয়ে করেছি। আর সেটা নিয়ে আমি খুব খুশি আছি। "
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই রিসেপশন পার্টিতে নুসরত-নিখিল
সাক্ষাৎকারে জয় শ্রীরাম প্রসঙ্গেও নুসরতকে জিজ্ঞাসা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন জয় শ্রীরাম স্লোগান তুললেই রেগে যান এই প্রশ্ন করা হলে নুসরত বলেন, "ভগবানের নাম করে স্লোগান তোলায় কোনও ভুল নেই। কিন্তু জয় শ্রীরাম বলতে হলে গলা জড়িয়ে ধরে বলুন, গলা চেপে ধরে নয়। দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।"
আরও পড়ুনঃ নুসরতের রিসেপশনে চাঁদের হাট, মধ্যমণি মমতা, দেখুন ভিডিও
নুসরত আরও বলেন, "ভগবানের নাম করার উদ্দেশ্য যদি কারওকে রাগিয়ে দেওয়া হয় বা ধর্মে রাজনৈতির রং দেওয়া হয়, তা হলে সেটা ঠিক নয়। ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা রাখা উচিত।"
সাক্ষাৎকারটিতে মমতার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে বলা হয়। নুসরত বলেন, "একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ে প্রথম দেখা হয়েছিল প্রথম হয়েছিল। মাথায় হাত দিয়ে দিদি বলেছিলেন, তুমি খুব মিষ্টি মেয়ে। আমি তোমার একটা ছবি দেখেছি। ভালো লাগে।"
সংসদ ভবনের সামনে সেলফি তুলে ট্রোল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নুসরত বলেন, অনেকে যেমন পোশাক ও সেলফির জন্য ট্রোল করেছেন তেমনই অনেকে আবার আমাদের পক্ষেই কথা বলেছেন। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম আমাদের পাশে ছিল। মানুষ ট্রোল করবে আর কথাও বলবে। কিন্তু অন্য়দিকে কিছু মানুষ বুঝেছেনও যে দুজন অল্পবয়সি মেয়ে তাঁদের নতুন কর্মস্থলে গিয়ে সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন। তাঁরা বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন।