একবার নয়, একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর নাম। আবারও নয়া বির্তকে উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি তেলের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে মিমিকে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকেই হয়েছে সমস্যার সূত্রপাত। তেলের বিজ্ঞাপনে 'জনপ্রতিনিধি' পরিচয় ব্যবহার করেছেন মিমি। আর সেখান থেকেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে 'অফিস অব প্রফিট' বির্তক। এই আইনের আওতায় মিমির সাংসদপদ খারিজ হবে কিনা তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন-শীতের আমেজে স্যুইমস্যুটে উষ্ণতা ছড়ালেন নীল 'পরী', দেখে নিন ভাইরাল ছবি...
বিজ্ঞাপনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিমি চক্রবর্তীর এই বিজ্ঞাপন নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তার দলের তরফ থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এবার বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এই বিজ্ঞাপন নিয়ে অন্য দলের সাংসদ তথা সদস্যরা সুর চড়িয়েছেন। তার এই বির্তকে এবার মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলের মন্ত্রীরা। বাবুল সুপ্রিয় থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, সুজন চক্রবর্তী সকলেই এর বিরোধিতা করেছেন। এই ঘটনাকে অনেকে নজিরবিহীন ঘটনা বলেও দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন-লুকিয়ে বিয়ে করলেন ক্যাটরিনা, কন্যাদান করলেন অমিতাভ...
রাজনীতির ময়দানে বাবুল সুপ্রিয় মিমির এই কর্মকান্ডের জন্য কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,'এভাবে বিজ্ঞাপন করা একেবারেই অনুচিত কাজ। মিমির উচিত এখনই এই ভুল শুধরে নেওয়া।' লকেট জানিয়েছেন, 'মিমি নিশ্চয়ই সাংসদের বিধি নিষেধ, আইন সম্পর্কে খুব একটা অবগত নন, তাই না জেনেই এই কাজটি করেছেন।' সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, 'একজন সাংসদ কীভাবে এই ধরনের কাজ করেন। জনপ্রতিনিধি ব্যবহার করে তিনি যে অর্থ উপার্জন করতে পারেন না তা কি জানা নেই মিমি চক্রবর্তীর।'
দীর্ঘদিন ধরেই এই বিজ্ঞাপন কোম্পানীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি। এতদিন অভিনেত্রী কিংবা তারকা পরিচয়েই তিনি এই বিজ্ঞাপনের প্রচার চালিয়ে গেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই 'জনপ্রতিনিধি' ব্যবহার করেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। এই বিতর্কের উত্তরে মিমি জানিয়েছেন, 'তাকে যা বলা হয়েছিল তাই তিনি বলেছেন। কিন্তু সমস্যা বাড়লে বিতর্কিত অংশ বাদ দেওযারও কথা বলেছেন তিনি।'