বাবার জন্য ছাড়তে হয়েছিল কলেজ-জুটত না খাবার, এ কী বললেন অভিষেক বচ্চন

কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য বোস্টন থেকে সোজা মুম্বই ফিরতে হয়েছিল অভিষেককে, তার উত্তরই দিয়েছেন জুনিয়র বচ্চন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন সেই কঠিন সময়ের কথা যখন কী খাবার খেতে পাবেন তাঁরা, তার ঠিক ছিল না।

Parna Sengupta | Published : Apr 5, 2022 8:32 PM IST

তাঁরা বলিউডের ফার্স্ট ফ্যামিলি। তাঁরা বচ্চন পরিবার। একদিকে অমিতাভ, অন্যদিকে জয়া। একদিকে অভিষেক তো অন্যদিকে ঐশ্বর্য। সব মিলিয়ে তারকার হাট। কিন্তু বলিউডের এই সুপার ফ্যামিলিতে বাবা ছেলের সম্পর্কের রসায়ন কেমন, তা নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন আবার উসকে উঠল অভিষেক বচ্চনের এক ইন্টারভিউয়ের উত্তর শুনে। সেখানে অভিষেককে পরিষ্কার বলতে শোনা গিয়েছে যে বাবার জন্য কলেজের পড়া মাঝপথে থামিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। 

কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য বোস্টন থেকে সোজা মুম্বই ফিরতে হয়েছিল অভিষেককে, তার উত্তরই দিয়েছেন জুনিয়র বচ্চন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন সেই কঠিন সময়ের কথা যখন কী খাবার খেতে পাবেন তাঁরা, তার ঠিক ছিল না। অভিষেক সুইজারল্যান্ডের আইগলন কলেজ নামের বোর্ডিং স্কুলে পড়ার পর বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন, সেইসময় চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে তার পরিবার, বিশেষ করে অমিতাভ বচ্চন। সব হারিয়ে তখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বচ্চন পরিবারের। 

অভিষেক জানিয়েছেন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে অমিতাভ বচ্চনকে "তার কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল" যাতে তিনি তার পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন। তখনই অভিষেক বচ্চন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি বোস্টনে তার কলেজ ছেড়ে দেবেন এবং যেভাবে পারেন তার বাবাকে সাহায্য করবেন।

অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড বা এবিসিএল, বিগ বি-এর ব্যবসায়িক উদ্যোগ যেটি তিনি ১৯৯৫ সালে শুরু করেছিলেন, সেই সংস্থা সাঙ্ঘাতিক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নেয়। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে গোটা পরিবার। অভিষেক ১৯৯৫-১৯৯৭ সালের মধ্যে ভারতে তার পরিবারের কাছে ফিরে আসেন এবং অমিতাভ বচ্চনকে সাহায্য করতে শুরু করেন। 

ছোট থেকে কোনও দিন বাবা শাসন করেনি। এক সাক্ষাৎকারে নিজে মুখে তা স্বীকার করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। জানিয়েছিলেন যা বকাবকি করার তা মা-ই করতেন। জয়ার হাতেই বেশ কয়েকবার মার খেয়েছেন তিনি। কিন্তু বাবা কোনও দিনই মারেননি। মানে মারার প্রয়োজনই পড়েনি। কারণ হিসেবে অমিতাভ জানিয়েছিলেন, যে অমিতাভের গলায় একটাই ডাক, অভিষেক, এই টুকুই ছিল যথেষ্ট।

কয়েক বছর পর, অভিষেক জেপি দত্তের ২০০০ সালের ফিল্ম রিফিউজিতে একজন অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, যেখানে তিনি করিনা কাপুরের সাথে অভিনয় করেছিলেন।

২০০০ সাল অমিতাভ বচ্চনের জন্যও একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। একদিকে যশ চোপড়া এবং পুত্র আদিত্য তাকে মহব্বতে ফিল্মে কাস্ট করেছিলেন, অন্যদিকে অমিতাভ কৌন বনেগা ক্রোড়পতি হোস্ট করতে শুরু করেছিলেন। এই দুই প্ল্যাটফর্ম অমিতাভকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়। বাকিটা ইতিহাস। 

Read more Articles on
Share this article
click me!