নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে চাননি এই অভিনেতা। আকাশচুম্বী খ্যাতির সময়কালে কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়ালেও, মূলত সম্পর্কটা তৈরি হয়েছিল করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে।
পাগলের মতো ভালবাসেছিলেন করিশ্মাকে। আজ তিনি করিশ্মার জীবনে থাকলে হয়ত কাপুর পরিবারের বড় মেয়ের জীবনের চিত্রনাট্যটা অন্যরকম হত। হয়ত বিবাহবিচ্ছেদের ধাক্কা সামলাতে হতে হত না করিশ্মাকে। তবে আজ সবটাই হয়ত আর যদির ভারে কাবু। কারণ তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান অভিনেতা হয়েও, শুধু করিশ্মাকে ভালবেসে বিয়ে করলেন না সারা জীবন। তিনি অক্ষয় খান্না।
২০০০ সালের গোড়ার দিকে খ্যাতি পাওয়া শুরু। কয়েকটা ফিল্মেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন অক্ষয় খান্না। তবে কখনই নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে চাননি এই অভিনেতা। আকাশচুম্বী খ্যাতির সময়কালে কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়ালেও, মূলত সম্পর্কটা তৈরি হয়েছিল করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে। মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল ভিতও।
করিশ্মার মন পড়তে পেরেছিলেন বাবা রণধীর কাপুর। অক্ষয় খান্নার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন রণধীর। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে দুজনেই মুখ খোলেননি কখনও। অক্ষয় খান্নার বাবা বিনোদ খান্নার কাছে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাঠান রণধীর। তবে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি অক্ষয়ের। সম্পর্ক অনেকদূর গড়ালেও, তা বিয়ের পরিণতি পায়নি। সৌজন্যে করিশ্মার মা ববিতা।
ববিতা কোনওদিনই অক্ষয় খান্নাকে নিজের বড় মেয়ে করিশ্মার জন্য মেনে নেননি। সেই সময় করিশ্মা নিজের কেরিয়ারের মধ্যগগনে। তাই অপেক্ষাকৃত কম সফল অভিনেতা অক্ষয়কে জামাই হিসেবে একেবারেই পছন্দ ছিল না ববিতার। এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেন তিনি। আজও কানাঘুষোয় শোনা যায় ববিতা যদি সেদিন আপত্তি না করতেন আজ হয়ত বিবাহিত হতেন অক্ষয় করিশ্মা। নিজের উজ্জ্বল কেরিয়ার ছেড়ে বাড়িতে বসে সংসার করুক মেয়ে, চাননি ববিতা।
করিশ্মার পর অভিনেত্রী তারা শর্মা ও রিয়ে সেনকে ডেট করেছিলেন অক্ষয়। তবে সাফল্যের মুখ দেখেনি সেই সম্পর্ক।
অক্ষয় খান্না কেন বিয়ে করেননি?
এই অভিনেতাকে একবার যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন তিনি এখনও বিয়ে করেননি, তখন অক্ষয় জানান যে তিনি নিজেকে ম্যারেজ মেটেরিয়াল বলেই ভাবেন না। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি এই ধরনের জীবন এবং প্রতিশ্রুতির জন্য তৈরি নন। অক্ষয় আরও বলেন যে বিয়ে জীবনের সবকিছু বদলে দেয়। সেটা তিনি চাননি।
তাহলে কি আজও মনের গহীনে লুকিয়ে রয়েছেন করিশ্মা, সেই অনুভূতির কোনও বদল দেখতে চাননি অক্ষয়। তাই কি বিয়ে শব্দটায় আজও আপত্তি? সে প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা।