বাবার স্বাস্থের কুশল সংবাদেই লস অ্যাঞ্জেলে ছিলেন বাপ্পা লাহিড়ি, কিন্তু একটা দিন কাটতে না কাটতেই সব শেষে। ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন বাপ্পি লাহিড়ি, তবে শেষ কৃত্য নয় বুধবার, মধ্যরাতের বিমানে বাড়ি ফিরবেন পুত্র বাপ্পা লাহিড়ি, বৃহস্পতিবার হবে শেষকৃত্য, পরিবারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়।
একের পর এক নক্ষত্র পতন (Bappi Lahiri Death), শোকে ডুবে গোটা দেশ, সঙ্গীত জগতের এ যেন এক অভিশাপ, বারে বারে তা শিল্পীদের মুখে উঠে আসতে শোনা যাচ্ছে বিগত কয়েকদিনে। সদ্য লতা মঙ্গেশকরের (Lata mangeshkar) শোকে জর্জরিত গোটা দেশ হারালেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukherjee)। মঙ্গলবার রাতেই সকলকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় গায়িকা, শেষকৃত্যের আগেই এলো আরও এক দুঃসংবাদ, প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি (Composer Bappi Lahiri)। ৬ মাস আগেই তিনি করোনায় আক্রান্ত বয়েছিলেন, ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে, করোনার (Covid 19 Possitive) সঙ্গে মোকাবিলা করে বাড়ি ফিরলেও, শরীরে বেশ খানিকটা ক্ষয় হয়েছিল, কণ্ঠস্বরে সমস্যা দেখা যাওয়ায় বন্ধ ছিল কথা বলাও, পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল ফুসফুসে সমস্যা দেখা গিয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে হাঁটছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি।
সেই সময় দীর্ঘদিন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি (Bappi Lahiri Son Bappa Lahiri) ছিলেন বাবার পাশে, দাঁড়িয়ে থেকে সবদিকে নজর রেখে চালিয়ে ছিলেন চিকিৎসা, এরপর বছর ঘুরতেই আবারও অসুপস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, টানা একমাস ভর্তি থাকার পর অবশেষে মেলে ছুটি। বাবার স্বাস্থের কুশল সংবাদেই লস অ্যাঞ্জেলে ছিলেন বাপ্পা লাহিড়ি, কিন্তু একটা দিন কাটতে না কাটতেই সব শেষে। ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন বাপ্পি লাহিড়ি, তবে শেষ কৃত্য নয় বুধবার, মধ্যরাতের বিমানে বাড়ি ফিরবেন পুত্র বাপ্পা লাহিড়ি, বৃহস্পতিবার হবে শেষকৃত্য (Thursday Last Rites of Bappi Lahiri), পরিবারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়।
আরও পড়ুন- সঙ্গীত জগতে বড় ধাক্কা, প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি
আরও পড়ুন- দরকার অদরকারে যখনই ছুটে গিয়েছি কখনও বিমুখ করেননি কাকু-কাকিমা, বললেন মানসী
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর, মুম্বইয়ের সিটি কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, ৮০-৯০ দশকের হিট মানেই বাপ্পি লাহিড়ি অন্যতম নাম। চিকিৎসারত ডাক্তার দীপক নমজোশির কথায়, তিনি এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। সোমবারই দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছুটি। তবে মঙ্গলবারই শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটে, পরিবারের তরফ থেকে ডাক্তারকে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ তৎক্ষণাত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে মৃত্যু ঘটে বাপ্পি লাহিড়ির। মধ্যরাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।