পাতাল লোকের অসামান্য রিভিউয়ের পর আশা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল বুলবুল নিয়ে। হরর ফ্লিকটি একটি বাংলা উপকথার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। অল্পবয়সী মেয়ে বুলবুল। তার জীবনের এক ভিন্ন কাহিনি এবং ডাইনির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে গল্প বুনেছেন অনবিতা। হরর হলেও এক সুন্দর রহস্য এবং কাল্পনিক ঘটনা দিয়ে ঘুরবে গল্পের মোড়। হরর জনরাহ যারা পছন্দ করে, তাদের জন্য এই ভিন্ন ধারার ছবিটি পারফেক্ট। অনুষ্কার শর্মার ওয়েব কনটেন্ট প্রথমেই ব্লকবাস্টারের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে। এই ছবি নিয়েই সম্প্রতি বিরোধিতা করেছেন হিন্দুস্তানি ভাউ ওরফে বিকাশ পাঠক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইটে লিখেছেন, বুলবুল ছবিটি ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধাকে অশ্লীল ভাষায় অপমান করেছে। সরকার কি এই মানুষদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে না।
আরও পড়ুনঃ'এখানে আকাশ নীল'-এ কি আর রইল না হিয়া, উজানের সঙ্গে কেন রয়েছে নতুন এই নায়িকা
তিনি আর বলেন, এখনও পর্যন্ত একতা কাপুরের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর কত দিন এই ধরণের মানুষ দেশকে অপমান করে যাবে। প্রসঙ্গত, হরর ফ্লিক মানেই জাম্প স্কেয়ারস, ভয়ঙ্কর চেহারা ভূত, প্রেতাত্মা। আবার কয়েক ধরনের হরর ছবি হয় যেখানে না জাম্প স্কেয়ারস, না কোনও ভয়ঙ্কর চেহারা। কেবল পাওয়ার প্যাকড চিত্রনাট্য। যা আপনাকে ছবিটি শেষ হওয়ার পরও ভাবাবে। চিন্তাভাবনায় উঁকি মারবে সময়-অসময়। এই দ্বিতীয় ধরনের হরর ফ্লিকের ফ্যান হলে অনুষ্কা শর্মার 'বুলবুল' আপনার জন্য প্রথম চয়েস।
আরও পড়ুনঃ'কাদম্বিনী' রূপে ঊষসী রায়, টিজারে ছক্কা হাঁকালেন 'বকুল'
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, মহেন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ছোট্ট বুলবুলের। আগেকার দিনে যা হত আর কি। প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা তার থেকে বেশি বয়সের জমিদারের সঙ্গে বাচ্চা মেয়ের বিয়ে। যদিও মনে প্রাণে বুলবুল সত্যকেই নিজেই ভাই মেনে এসেছে। সত্য, মহেন্দ্রর ভাই। সে বাইরে পরতে চেলে গেলে প্রকান্ড জমিদারবাড়িতে বড্ড একা হয়ে যায় বুলবুল। তবে একার থাকার চেয়েও অন্য কিছু যেন তাকে তাড়া করে বেড়ায় বাড়ির সমস্ত কোনা জুড়ে। মহেন্দ্রর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাহুল বোস। অনুষ্কার শর্মার নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রথম ভেঞ্চার 'বুলবুল'। অনুষ্কার শর্মার প্রযোজনায় 'পরী' ছবির পর দ্বিতীয় হরর ফ্লিক বুলবুল। পরীর পর দ্বিতীয়বার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় কাজ করলেন অনুষ্কার সঙ্গে। পরমব্রতের পাশাপাশি অভিনয় রয়েছেন অবিনাশ তিওয়ারি, তৃপ্তি দিমরি।