বিস্ফোরক ভরে আনারস খাওয়াতেই মৃত্যু গর্ভবতী হাতি, জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সরব অনুষ্কা

  • বাজি ভরতি আনারস খাইয়ে দেওয়া হল গর্ভবতী হাতিকে
  • পেটের ভিতর বিস্ফোরক ফাটতেই মারা গেল শিশু হাতিটি
  • দিন কতক পর মারা যায় হাতিটিও
  • কেরলের ঘটা এই জঘন্য অপরাধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অনুষ্কা শর্মা

Adrika Das | Published : Jun 3, 2020 9:27 AM IST / Updated: Jun 03 2020, 04:40 PM IST

কেরলের পালাককাদ জেলার ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে মানবজাতির। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই রব। করোনা, আমফান, নিসর্গ, ডেঙ্গু, মানবজাতির ধ্বংস হয়ে যাওয়াই উচিত। গর্ভবতী হাতিকে বিস্ফোরকে ভরা আনারস খাইয়ে দিল পালাককাদের একাংশ মানুষ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছাড়া হল ভিডিওটি। দিনের পর দিন যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গেল হাতিটা। এমন কাজ করার আগে ঠিক কী চিন্তা করছিল সেই মানুষরা। এই ঘটানর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনুষ্কা শর্মা।  

আরও পড়ুনঃ'পালঘর সাধু মৃত্যু নিয়ে একটাও কথা বলেনি এরা', জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ নিয়ে অন্য সুর তুললেন কঙ

ঠিক কী চিন্তা করছিল সেই জেলার মানুষগুলি এই কাজটি করার আগে। নিত্যদিনের মত সকালে জলখাবার খেয়ে বাড়িতেই বসে থাকা। বাড়িতে কোনও কাজ কিংবা স্মার্টফোনে সময় কাটানো। এই তো বেশ ছিল। খামোখা বাড়িতে বেরিয়ে এমন নৃশংস কান্ড ঘটাবার কী প্রয়োজন ছিল তার কূল কিনারা পাচ্ছে না একাংশ মানুষ। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে মনে হল, আজ একটি গর্ভবতী হাতিকে মারব বিস্ফোরক ভরা আনারস খাইয়ে। সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমন ভাবনা চিন্তা রাখতে পারে ভাবলেই অবাক লাগে। বা হয়তো এই ঘটনাটগুলিকে মানসিক অসুস্থতার নাম দিয়ে আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি। মানবজাতি সত্যিই এতটাই নৃশংস। ঠিক কী ধরণের বিনোদন পেতে এই কাজটি করল কেরলবাসী তার কোনও ব্যাখা নেই।

আরও পড়ুনঃআমফানের পর এবার নিসর্গ, বাংলার পর বিপদে মুম্বই, সচেতনতা জারি করলেন অক্ষয়

 

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে শিল্পের কারুকার্য। একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসুক বা গর্ভবতী হাতিকে হত্যা, কিছু মানষ কল তুলি হাতে রেডি থাকে। আজও নিউজ ফিডে হাতিটি এবং তার বাচ্চাকে নিয়ে চলছে নানা ছবি আঁকা, গল্প লেখা। বলছি, কাল মাথায় থাকবে তো হাতিটার কথা। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে শেষ সময় অবধি পেটের ভিতর থাকা নিজের সন্তানের কথাই ভেবে গিয়েছিল মা, এই কথাটা কোয়ারেন্টাইন সেলফি তোলার সময় মনে থাকবে তো। এই সময় রুদ্রনীলের ভিঞ্চি দা'র মিমটার কথা মনে পড়ে যায়। মানবতার মুখোপ পড়ে কখন হিপোক্রিসি বেরিয়ে আসবে, ধরতে পারবেন না। সত্যি তো তাই, আমফানের সময় যারা বাড়ি ঘরদ্বোর হারালো তাদের জন্য আর্তনাদ করে গলা ফাটাল নেটিজেন। তারাই আবার জামাইষষ্ঠীতে থালা ভরে খাবারের ছবি পোস্ট করছে। এবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। টপিকটা শুধু ভিন্ন।  

Share this article
click me!