বালিকা বধূ সিরিয়ালের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা ও প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় আকাল প্রয়াণ। মন ভারাক্রান্ত করছে অনুগামীদের।
আগেই চলে গিয়েছিলেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সিদ্ধার্থ শুক্লা। হিন্দি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল 'বালিকা বধূ'র দুই প্রধান অভিনেতা। কালার্সের এই জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিয়ন করে দুজনেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধার্থের আচমকা মৃত্যুতে আবারও ফিরে এল প্রত্যুষার মৃত্যু। দুজনেই অল্প বয়সেই প্রায়ত হলেন। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। তাঁর অনুগামীরা গোটা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।
বালিকা বধূ সিরিয়ালে প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর সিদ্ধার্থ শিবরাজ শেখরের ভূমিকায়-যিনি একজন জেলা শাসক হয়ে আনন্দীর গ্রামে এসেছিলেন। সেখানেই দুজনের দেখা- তারপর প্রেম। সিরিয়ানের অন্যতম প্রিয় চরিত্র ছিলেন দাসিসা, সুরেখা সিক্রি, যিনিও কিছু দিন আগে মারা যান। সিরিয়ালে রক্ষণশীল আর দাপুটে এক মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু নাতবউয়ের প্রেমে পূর্ণ সমর্থন ছিল তাঁর।
'প্রেমের ভান করা', প্রিয়জনের হাত ধরে তৃতীয় জনের জন্য ফ্লার্ট করা কি ঠিক
২০১৬ সালে পয়লা এপ্রিল মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রত্যুষাকে তাঁর গোরেগাঁওর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর সহবাসের সঙ্গী রাহুল রাজ সিং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যুষার মৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াসা রয়েছে। তিনি কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। রাহুল রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যুষার বাবা মা নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা প্রমাণ করা যায়নি।
ভারতীয় মুসলমানদের কড়া সমালোচনা নাসিরুদ্দিনের, তালিবান ইস্যুতে সতর্ক করলেন অভিনেতা
অন্যদিকে এদিন মাত্র ৪০ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সিদ্ধার্থের। যদিও হাসপাতাল জানিয়েছে অভিনেতার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই, তবুই সিদ্ধার্থের অনুগামীদের দাবি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকেই আবার কুপার হাসপাতালকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। যাইহোক, জনপ্রিয় বালিকা বধূ সিলিয়ার জনপ্রিয় জুটির অকাল প্রয়ানে রীতিমত শোকস্তব্ধ তাদের অনুগামীরা।
সৈয়দ গিলানির মৃত্যু, আরও একবার খুলে দিল পাকিস্তানের কপটতার মুখোশ
বিগ বস সিজিন ১৩র জয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লা ওই অনুষ্ঠানেও প্রত্যুষার কথা বলেছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন তাঁরা ভালো বন্ধু ছিলেন। একই সঙ্গে শেহনাজ গিলের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে তার ভারাক্রান্ত শেনওয়াজ গিলও।