করোনা আতঙ্কে ঠাঁই নেই গ্রামে, আমবাগানে একাকী দিনযাপন যুবকের

  • করোনা আতঙ্কের গ্রাসে বাংলা
  • যুবককে গ্রামে ঢুকতে 'বাধা' স্থানীয়দের
  • আমবাগানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি
  • বর্ধমানের কালনার ঘটনা
     

Asianet News Bangla | Published : May 19, 2020 9:22 AM IST / Updated: May 19 2020, 03:01 PM IST

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। গ্রামে ফিরে দুর্ভোগ আরও বাড়ল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে শেষকিনা আমবাগানে আশ্রয় নিতে হল এক ব্যক্তিকে! ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।

আরও পড়ুন: মালদহে নতুন করে ১১ করোনা আক্রান্তের হদিস, কোভিড ১৯ সংক্রমণে হাফ-সেঞ্চুরি পার করল তিন জেলা

কালনার স্বাশপুর গ্রামে থাকেন গুরুপদ হালদার। কয়েক মাস আগে নদিয়ার মাজদিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। কিন্তু এমন বিপত্তি যে ঘটবে, তা কে জানত! পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনে জেরে ফিরতে পারছিলেন না গুরুপদ। কিন্তু আত্মীয়ের বাড়িতেইবা কতদিন থাকবেন! শেষপর্যন্ত পায়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। শুধু তাই নয়, ফেরি বন্ধ থাকায় সাঁতার কেটে পার হয়ে যান ভাগীরথী নদীও। বিপত্তি ঘটে কালনা শহরে পৌঁছানোর পর। 

আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুতে সাড়ে চার বছর জেলে, বেরিয়ে এসে লকডাউনে বাসস্ট্যান্ডে আটকে যুবক

আরও পড়ুন আমফান-এর সঙ্গে করোনা দোসর, মাস্ক-পিপিই পরেই মাঠে নামবে উদ্ধারকারীরা

জানা গিয়েছে, করোনা আতঙ্কে গুরুপদকে স্বাশপুর গ্রামে ঢুকতে দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বাইরে থেকে এসেছেন, তাই নিয়ম মেনে ১৪ দিন থাকতে হবে কোরায়েন্টাইনে। ফলে বাধ্য হয়েই এখন গ্রামের বাইরে আমবাগানে অস্থায়ী ছাউনিতে মশারি খাটিয়ে থাকছেন গুরুপদ।  তবে বাড়ির লোকের সঙ্গে যে একেবারেই যোগাযোগ নেই, তা কিন্তু নয়। রোজ দূর থেকেই বাবা-কে খাবার দিয়ে যান গুরুপদের মেয়ে।

 

 

 

উল্লেখ্য, গ্রিনজোনের তকমা ঘুচে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পূর্ব বর্ধমানেও। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১২ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে জেলায়। চিকিৎসায় সেরে উঠেছে ৫ জন।

Share this article
click me!