চিনের থেকে সাবধান, গোটা বিশ্বেই ঋণের ফাঁদ পেতে রেখেছে বেজিং

 'দ্যা বেল্ট অ্যান্ড রোডইনিশিয়েটিভ' এর অধীনে ব্যাঙ্ক ও কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রচুর চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তিগুলির অধিকাংশ অস্বচ্ছ্ব। তাতেই সমস্যায় পড়েছে প্রায় ১২টি নিম্ম আয়ের দেশ। 

চিনের  (China) বৈদেশিক পরিকাঠা দরিদ্র দেশগুলির কাছে আর্থিক (Finance) ধাক্কা আর ঋণগ্রস্ত হওয়ার ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ সম্প্রতি একটি গবেষণা রিপোর্ট দেখা গেছে বিশ্বের বেশ কয়েরটি দেশ সর্বোমোট লুকানো ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রকল্পের দুর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে রীতিমত সমস্যায় পড়ছে দরিদ্র দেশগুলি। 

Latest Videos

আন্তর্জাতিক রিসার্চ ল্যাব- একে প্রকাশিত এইড ডেটা (Aiddata) থেকে প্রায় তথ্য বলছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং নির্দেশেই শুরু হয়েছিল বিনিয়োগ অভিযান।  'দ্যা বেল্ট অ্যান্ড রোডইনিশিয়েটিভ' এর অধীনে ব্যাঙ্ক ও কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রচুর চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তিগুলির অধিকাংশ অস্বচ্ছ্ব। তাতেই সমস্যায় পড়েছে প্রায় ১২টি নিম্ম আয়ের দেশ। কারণ সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকারগুলিকে ঋণের জালে জড়িয়ে রেখেছে চিন। কিন্তু সেই তথ্য নেই তাদের ব্যালেন্স শিটে। 

২০১৩ সালে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া কর্মসূচি গ্রগণ করেছিল চিন। প্রায় ১৬টি দেশে রাস্তা. সেতু, বন্দর ও হাসপাতাল নির্মাণে চিন এখনও পর্যন্ত ৮৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই পরিকল্পনার অধীনে প্রায় ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের । তাই এখনও পর্যন্ত ৭০ শতাংশ টাকা ধার দিয়েছে চিন। মূলত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় অংশীদেরদেরই এই টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। তাতেই বেজিংএর কাছে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে প্রচুর মানূষ, যারা চিনের বাসিন্দা নয়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত পার্কস জানিয়েছেন অনেক দরিদ্র দেশই নতুন করে ঋণ নিতে পারছে না। সেই কারণে চিনারা এখনও সৃজনশীলতার দিকে মন দিচ্ছে। 

পার্কসের কথায় কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনও কেউ যদি ঋণ দেয় তা তখন অন্য পক্ষ ঋণ পরিষেধ করতে না পারলে সরকারি গ্যারেন্টারকে তা শোধ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। কিন্তু এক্ষেত্র চুক্তিগুলি এতটাই অস্পষ্ট যে সরকার নিজেই জানে না যে চারা চিনের কাছ থেকে ঠিক কতটা ঋণ নিয়েছে। 

গবেষণায় দেখা গেছে খুব কম টাক ঋণেরও যে রিপোর্ট করা হয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভার্জিনিয়ার কলেজ অব উইলিয়ম অ্যান্ড মেরিতে অবস্থায় এইড ডেটা বলছে ৪৫টি নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশ রয়েছে যেগুলির চিনে দেওয়া ঋণের পরিমাণ জাতীয় দেশীয় উৎপাদনের ১০ শতাংশেরও বেশি।

Ambani vs Adani: অপ্রচলিত শক্তি নিয়ে মুকেশ অম্বানিকে চ্যালেঞ্জ গৌতম আদানি, লক্ষ্য আম্বানিকে টেক্কা দেওয়া 

Afghan Crisis: কাবুলের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করুক, আবেদন জানিয়ে তালিবান মন্ত্রীর চিঠি ভারতকে

TMC: গোয়াতে উড়ছে ঘাসফুলের পতাকা, কলকাতায় এসে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ফালেইরোর

চিনা বিনিয়োগের কারণে রীতিমত বিপদের মুখোমুখি দাঁড়়িে রয়েছে -দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের মত জায়গাগুলি। সেখানে মূলত চিনা অর্থ প্রবাহিত হচ্ছে। এই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন তারা খুবই সামান্য সুযোগ সুবিধে পাচ্ছে। কিন্তু চিনা বিনিয়োগকে টার্গেট  করেছে জঙ্গিরা। সেই কারণে গোটা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেষ তৈরি হয়েছে। প্রাণ হানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যার সম্প্রতি নির্দর্শন দেখতে পাওয়া গেছে। কারণে পাকিস্তানের চিনা আধিকারিকদের পরপর নিশানা করছে জঙ্গিরা। পার্কসের কথা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের এখন ক্রেতাদের কাছে আতঙ্কের এক নাম। 

অনেক বিদেশী রাষ্ট্র রয়েছে যারা একটা সময় চিনা বিনিয়োগের নাম শুনলেই রাজি হয়ে যেত। কিন্তু এখন চিনের এই ঋণের ফাঁদে ফেলার পরিণাম তারা জানে। তাই গত দু বছর ধরে চিনা টাকায় প্রকল্প তারা বাতিল করে দিচ্ছে। সম্প্রতি বেজিংএর এই আধিপত্য মোকাবিলায় স গ্রুপ অব সেভেনের সাতটি ধনী জেশ একটি প্রতিদ্বন্দ্বী স্কিম ঘোষণা করেছে। এইড ডেটার তথ্য অনুযাযী বেজিম ঋণের জালে জড়াতে চাইছে নিম্নআয়ের দেশগুলিকে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'৩০ সেকেন্ডে যাদবপুর দখল করছিল মদন, এখন নিজের এলাকা দখল হয়ে যাচ্ছে', চরম কটাক্ষ অর্জুন সিংয়ের
IND vs NZ Final : দুবাইয়ের ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ড : শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দুই দল | CT 2025 Final
'তৃণমূলের উত্থান Kolkata থেকে, পচনও শুরু কলকাতা থেকেই' অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ | Adhir Chowdhury | TMC
যাদবপুরে নৈরাজ্য! ব্রাত্যদের গ্রেফতারির দাবী জানিয়ে শুভেন্দুদের ধিক্কার মিছিল | Suvendu Adhikari
'ম্যায় হু না' দিল্লির মহিলাদের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা | Rekha Gupta Delhi CM