সংক্ষিপ্ত
বিত্তশালীর তালিকায় মুকেশ অম্বানিকে টেক্কা দেওয়ার পথে গৌতম আদানি। জমে উঠেছে ভারতের দুই কোটিপতির লড়াই।
বিজেনেস টাইকুন মুকেশ অম্বানি (Mukesh Ambani) আর তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গৌতম আদানির (Goutam Adani) মধ্যে সেরার লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিলিয়নিয়ার দুনিয়া। ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানিকে এবার রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন গৌতম আদানি। সম্প্রতি তাঁর সংখ্যা ঘোষণা করেছে তাঁর সংস্থা বিশ্বের সবথেকে সস্তা গ্রিন ইনেকট্রন (Green Electron) উৎপাদন করবে। আগামী ১০ বছরে কুড়ি হাজার বিলিনয় মার্কিন ডলার, ভারতীয় মূল্য দেল লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়গ করবেন। পাশাপাশি অপ্রচলিত শক্তি (renewable energy) উৎপাদনেও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তাঁর সংস্থা।
সম্প্রতি এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি ও তেল পরিষোধন ও পেট্রোকেমিক্যাল জায়েন্ট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক মুকেশ অম্বানি জুন মাসে বলেছিলেন আগামী তিন বছরের জন্য অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন ও সবুজ শক্তির জুন্য ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যায় করবে। তবে তাঁর তুলনায় বেশি টাকা এই একই কাজে বিনিয়োগ করার কথা ঘোঘণা করেছেন ভারতের দ্বিতীয় বিত্তশালী গৌতম আদানি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ঘোষণার মাধ্যমেই গৌতম আদানি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানিকে।
Punjab Congress crisis: ভোটের আগে বিপর্যস্ত পঞ্জাব কংগ্রেস, সিধুকে বিপজ্জনক বললেন ক্যাপ্টেন
কোথাও ভিন গ্রহীরা আসে, কোথাও আবার ভেসে ওঠে প্রাচীন কঙ্কাল, ভারতের রহস্যে মোড়া এমনই সেরা ১০টি জায়গা
INS TABAR: তিন মাস একের পর এক মহড়ায় অংশ নিয়েছে আইএনএস তাবর, ঘুরেছে ৯টি দেশ
আগামী চার বছরে অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন তিনগুণ করার পরিবকল্পনা গ্রহণ করেছে আদানিরা। তারা জানিয়েছে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করার লক্ষ্যেও কাজ করবে। আগামী চার বছরের মধ্যে আদানি গোষ্ঠী সমস্ত ডেটা সেন্টার, বন্দর অপ্রচলিক শক্তিতে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গৌতম আদানির পক্ষ থেকে সংস্থার চেয়ারম্যান জেপি মরগান জানান হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে মোট মূলধনের ব্যায়ের ৭৫ শতাংশই অপ্রচলিত শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহার করবে। তিনি আরও বলেছেন আদানি গ্রুপের ইন্টিগ্রেটেড ভ্যালু চেইন আমাদের স্কেল ও অভিজ্ঞতা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে কম খরতে সবুজ ইলেকট্রন উৎপাদকের পথ প্রসস্ত করবে।
এবার অম্বানিদের সঙ্গে আদানিদের লড়াই হবে মূলত অপ্রচলিত শক্তির বাজার দখলকে কেন্দ্র করে। কারণ মুকেশ আম্বানি কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এক দশকের মধ্যে ভারতে প্রতি কিলোগ্রাম হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে খরচ হবে ১ মার্কিন ডলারেও কম অর্থ। হাইড্রোজেন থেকে কার্বন নির্গমণ হয় না। শিল্প ও গাড়ির জ্বালানি হিসেবেও তা ব্যবহার করা যাবে। পাল্টা আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সংস্থার মত এমন বিপুল সম্প্রসারণ বিশ্বের আর অন্য কোনও সংস্থা করছে না।
বর্তমানে আদানিরা ৪৯২০ মেগাওয়াট অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন করে। ৫ হাজারেও বেশি মেগাওয়াট নির্মীয়মান পর্যায়ে রয়েছে। আদানিরা জানিয়েছে উৎপাদন করা, নির্মীয়মান, বরাত পাওয়া সমস্ত প্রকল্প ধরলে এই সময় বিশ্বের বিশ্বের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা তারাই। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব বৃহত্তম অপ্রচলিত শক্তি হওয়ার পথে তার সংস্থা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের বিষয়ে তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানান হয়নি।