সংক্ষিপ্ত
গোয়া কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি যে কাজ পশ্চিমবঙ্গে করেছে সেই একই কাজ গোয়াতে করছে তৃণমূল। বিজেপি যেভাবে তৃণমূলের ঘর ভেঙে শক্তি বাড়িয়েছিল ঠিক সেভাবেই গোয়াতে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে শক্তাশালী হয়েছে ঘাসফুল।
কলকাতায় (Kolkata) এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Goa CM) তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা লুইজিনহো ফালেইরো (Luizinho Faleiro)। এদিনই তিনি কলকাতা আসেন। নবান্নতেই তিনি দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অন্যদিকে সুদূর গোয়াতেও উড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা।পানাজি ও গোয়া বিমান বন্দরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা পাতাকা উড়ছে। স্লোগান হিসেবে লেখা হয়েছে গোয়াতে জন্য একটি নতুন সকাল।
এদিন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফালেইরো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও আরও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির আরও ১০ জন শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। বুধবারই গোয়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ফালেইরো ছাড়াও কংগ্রেসের বিধায়ক প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষস্থানীয় আরও ১০ নেতার নাম রয়েছে। এদিন কলকাতায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুলের পাতাকা তুলে নেন ফালেইরো। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
গোয়া কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি যে কাজ পশ্চিমবঙ্গে করেছে সেই একই কাজ গোয়াতে করছে তৃণমূল। বিজেপি যেভাবে তৃণমূলের ঘর ভেঙে শক্তি বাড়িয়েছিল ঠিক সেভাবেই গোয়াতে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে শক্তাশালী হয়েছে ঘাসফুল। পাশাপাশি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গোয়াত দলের ভাঙন রুখতে সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর কোনও ইচ্ছে নেই। বিষয়টি িয়ে তাঁরা পুরোপুরি উদাসীন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এটা দেখা যাচ্ছে সম্প্রতী কংগ্রেসের ঘর ভেঙেই তৃণমূল কংগ্রেস শক্তি বাড়াচ্ছে।
Pakistan: ইসলামের সমালোচনা করায় মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড, পাকিস্তানে কঠোর Blasphemy Law
Afghan Crisis: কাবুলের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করুক, আবেদন জানিয়ে তালিবান মন্ত্রীর চিঠি ভারতকে
Puzzling: পুলিশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে জঙ্গলে খুঁজল এক ব্যক্তি, কারণ জানলে হাসি পাবে আপনার
এই রাজ্যে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দল ছেড়েছিল অজিত পাঁজা, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, মুকুল রায়ের মত নেতারা। পরবর্তীকালে এই রাজ্যে একাধিক কংগ্রেস নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যদিকে রাজ্যে ২০১১ সালে পালা বদলের পর কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত থাকে। নতুন করে ভাঙতে শুরু করে বামদলগুলি। বর্তমানে বিজেপি নেতারাও দল ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত জাতীয় স্তরে তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতা নেত্রীদের মাধ্যমে। কারণ এর আগে অসমের কংগ্রেস নেতা সুম্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তালিকায় নতুন নাম হিসেবে উঠে আসতে পারে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। তবে আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিংহ।