রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা শেয়ার মার্কেটের বিগবুল। তাঁকে ভারতের ওয়ারেন্ট বাফেটও বলা হয়। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি কোটিপতি ও এক সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা শেয়ার মার্কেটের বিগবুল। তাঁকে ভারতের ওয়ারেন্ট বাফেটও বলা হয়। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি কোটিপতি ও এক সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। রবিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞ হয়ে তাঁর পা পড়েছিল আকাশেও। সফল একজন ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর জীবনের যাত্রা অনেকটা রূপকথার গল্পের মত। অত্যান্ত সাহসী ও দৃঢ়়চেতা হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার যাত্রা-
১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। বড়ো হন মুম্বইতে। সিডেনহাম কলেজ থেকে স্নাতক হন। তারপরই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সস ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তাঁর স্ত্রী রেখা। যিনিও দালাল স্ট্রিটের পরিচিত নাম।
শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে উৎসহ-
শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে তেমন ধারনা ছিল না রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার। ছিল না কোনও পুঁথিগত শিক্ষাও। মূলত বাবা ও তাঁর বন্ধুদের মুখে শেয়ার মার্কেটের আলোচনা শুনে শুনেই দালাল স্ট্রিট সম্পর্কে তাঁর উৎসহ জন্মায়। নিয়মিত সংবাদপত্রে শেয়ার মার্কেটের ওঠা-পড়ার প্রতিবেদন তাঁকে আরও উৎসাহী করে বলে নিজেই একাধিক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এও জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা তাঁকে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার অনুমতি দিলেও টাকাপয়সা দেননি। পাশাপাশি বন্ধুদের থেকেও ঋণ নিতে নিষেধ করেছিলেন।
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ-
শেয়ার মার্কেটের ওঠা-পড়া চুম্বকের মতই টেনেছিল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালাকে। হাত খালি হলেও বাবার অনুমতি নিয়েই শেয়ার মার্কেটে পা রাখেন তিনি। তবে মাত্র পাঁচ হাজার টাকাই ছিল তাঁর সম্বল। সালটা ১৯৮৫। পাঁচ হাজার টাকা বিনিময় টাটা-টির শেয়ার কিনেছিলেন। সেই সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৩। এক বছরের মধ্যেই বিশাল লাভের মুখ দেখেন তিনি। স্টকটির দাম বেড়ে হয় ১৪৩ টাকা। তিন বছর পরে ওই শেয়ার থেকেই তিনি লাখপতি হয়ে যান। কারণ সেই সময় শেয়ারের মূল্য ছিল ২০-২৫ লক্ষ টাকা।
শেয়ার মার্কেটই টার্গেট-
এই সাফল্যের পর আর দালাল স্ট্রিট ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেননি রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। তিনি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন দেবেন - এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাইয়ের বন্ধুদের থেকে টাকা নিয়ে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। তাঁর টাইটান, ক্রিসিল সেসা গোয়া, প্রাজইন্ডাস্ট্রিজ, অরবিন্দ ফার্মা , এনসিসিতে বিনিয়োগ ছিল সফল।
ব্যবসায়ী ঝুনঝুনওয়ালা-
ঝুনঝুনওয়ালা RARE এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন স্টক ট্রেডিং ফার্ম চালাতেন। তিনি ভারতের নতুন এয়ারলাইন আকাসা এয়ারকেও সমর্থন করেছিলেন যা এই মাসের শুরুতে ভারতীয় আকাশে যাত্রা করেছিল। যখন এভিয়েশন সেক্টর ভালো যাচ্ছে না তখন কেন এই উদ্যোগ শুরু করলেন জানতে চাইলে ড. "আমি বলছি আমি ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত"। এরকম সাহসী উত্তর একমাত্র তিনিই দিতে পারেন। যাইহোক হাঙ্গামা মিডিয়া এবং অ্যাপটেকের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ভাইসরয় হোটেল, কনকর্ড বায়োটেক, প্রোভোগ ইন্ডিয়া এবং জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি বলিউডেও বিনিয়োগ করেছিলেন।
প্রয়াত ভারতীয় স্টক মার্কেটের মুকুটহীন রাজা রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা
সুচিত্রা সেনার জন্য গুলজারের হাতে মার খেয়েছিলেন রাখি, আঁধির শ্যুটিং ঘর ভাঙে তারকা দম্পতির
এই ছবি দেখে ঘুম উড়ছে দিল্লিবাসীর, কাঁটাছেঁড়া করতে ব্যস্ত নেটবাসীরা