২৮ না ১৪ কত দিনের কোয়ারেন্টাইন উপযুক্ত, কী মনে করছে করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল কেরল

২৮ দিনের কোয়ারেন্টাইনই সংক্রমণ রুখতে কার্যকর
কেরলের মতে ৫ শতাংশ আক্রান্তের মধ্যে লক্ষণ প্রকট হয় ১৪ দিন পরে
অধিকাংশই সংক্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্ত হন
এই ছবি দেখা গিয়েছিল উনানে

Asianet News Bangla | Published : Apr 17, 2020 12:18 PM IST

গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কেরল। গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যের চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসের আক্রান্তের নিয়ে পর্যবেক্ষণও করেছেন অনেক বেশি। তাই কেরলের এক চিকিৎসক জানালেন, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁরা দেখেছেন ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে কাটানোর পরেও অনেক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের লক্ষণগুলি স্পষ্ট হচ্ছে। রাজ্যে প্রায় ৫ শতাংশ এমন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল যাঁরা ১৪ দিন পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কেরলের চিকিৎসকের কথায় ২৮ দিন থেকে এক মাসের কোয়ারেন্টাইনই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর সবথেকে ভালো উপায়।

স্থানীয় এক চিকিৎসকের কথায়  সংক্রমিত এলাকা থেকে ফেরার প্রায় ২৬ দিন পর এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়।তখন তাঁর নমুনা পজেটিভ ছিল। মাত্র ২দিন পর সেই ব্যক্তির যখন নমুনা পরীক্ষা করা হয় তখন ধরা পড়ে অন্যছবি। দেখাযায় ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। 

একই পর্যবেক্ষণ ২০ মার্চ দুবাই থেকে কেরলে ফেরা দুই বাসিন্দার ক্ষেত্রে। ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পরেও কোনও করোনা সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রায় ২৬ দিন পরে যখন তাঁদের নমুনা দ্বিতীয় বারের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল তখন দেখা যায় তাঁরা দুজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু মাঝের সময় তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। 

কুন্নুর জেলার মেডিক্যাল অফিসারের মতে ২৪৮ জন বিদেশ ফেরতের মধ্যে  প্রথমে মাত্র একজন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পর্যবেক্ষণ করে কেরল ২৮ দিনের কোয়ারেন্টাইনকেই মানদণ্ড হিসেবে ধরেছিল। তবে স্থানীয় চিকিৎসকদের কথায় তাঁরা ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা উনানের প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। তাঁদের কথায় চিনের এক ব্যক্তির মধ্যে বিচ্ছিন্ন থাকার ২৭তম দিনে রোগের লক্ষণ প্রকট হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ হাজার টাকার বিনিময় মাত্র ১০ মিনিটেই করোনা নির্ণয়, নতুন টেস্ট কিট তৈরি কেরলের সংস্থায় ...

আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর পরেও শেষ যাত্রার জন্য অনন্ত অপেক্ষা করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের, থালা বাজিয়া কী লাভ হল ...

আরও পড়ুনঃ করোনা সংকট কাটিয়েই কাঁচামালের দাম বাড়াচ্ছে চিন, ভারতীয় বাজারে আরও দামি হতে পারে ওষুধ ...

বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যণ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকট হয় শূণ্য থেকে ১৪ দিনের মধ্যে। মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকট হয় ২৮ দিনের মধ্যে।   কিন্তু এই ৫ শতাংশ মানুষই সংক্রমণ ছড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। 

Share this article
click me!