মৃত্যুর পরেও শেষ যাত্রার জন্য অনন্ত অপেক্ষা করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের, থালা বাজিয়া কী লাভ হল


চিকিৎসকের শেষকৃত্যে বাধা
মেঘালয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য 
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
মৃত্যুর ৩৬ঘণ্টা পর শেষকৃত্য 

Asianet News Bangla | Published : Apr 17, 2020 11:19 AM IST

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধ ঐক্যবদ্ধ ভারতবাসী জনতা কারফিউ-এর মধ্যে দিয়েই লড়াই শুরু করেছিল। কিন্তু তারও অনেক আগে জানুয়ারি থেকেই এই মারাত্মত ছোঁয়াছে জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছের ভারতের চিকিৎসক, নার্স আর স্বাস্থ্য কর্মীরা। জনতা কারফিউর দিন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় গোটা দেশই জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁদের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। 

এবার সেই উদাহরণ সামনে এল মেঘালয়ে।  পাহাড়ী এই রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। ৬৯ বছরের চিকিৎসক। স্থানীয় প্রশাসনের কথায় তিনি মেঘালয়ের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রায় সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করেছিলেন। রাজ্যের সবথেকে বড় বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। কিন্তু তারপরেও মৃত্যুর পর তাঁকে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছিল শেষ যাত্রার জন্য। 

মৃত চিকিৎসকের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। আর তাঁর দেহ ঘণ্টার ঘণ্টা পড়েছিল হাসপাতালের মর্গে। কারণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রাজ্যে বহু মানুষই তাঁর কবরস্থ করতে বাধা দিয়েছিলেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় মৃতের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় জানিয়েছেন আমাদের কিছুই করার নেই। শেষকৃত্য করতে গিয়ে সবজায়গা থেকেই আমরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। 

প্রথমে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের রিভোই জেলায় পরিবারের ব্যক্তিগত জমিতে কবরস্থ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসকের অবদান ভুলে গিয়ে বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরিবার দাহ করতে রাজি হলেও জনগণ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বলেই পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি চার্চ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় খ্যাতনামা চিকিৎসকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। সেই সময় উপস্থিত ছিল মাত্র তিন জন। শিলং-এর বাসিন্দা চিকিৎসকের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় এই ঘটনায় খুবই উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায় প্রিয়জনের শেষকৃত্য কোথায় হবে তা একান্তই পরিবারের বিবেচনাধীনে থাকা উচিৎ।  

আরও পড়ুনঃ করোনা সংকট কাটিয়েই কাঁচামালের দাম বাড়াচ্ছে চিন, ভারতীয় বাজারে আরও দামি হতে পারে ওষুধ ...

আরও পড়ুনঃহাজার টাকার বিনিময় মাত্র ১০ মিনিটেই করোনা নির্ণয়, নতুন টেস্ট কিট তৈরি কেরলের সংস্থায় ...

আরও পড়ুনঃ রিজার্ভ ব্যঙ্কের ঘোষণায় সুবিধে পাবে ছোট ব্যবসাসী ও কৃষকরা, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর ..

মেঘালয়ের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানান হয়েছেন, এটি রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। তাই প্রথম দিকে আতঙ্ক দেখা গেছে। তবে পরের দিকে নিয়মনীতি মেনেই পরিস্থিতি সামলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে মেঘালয়ার হাইকোর্টও। 

Share this article
click me!