আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ
সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারে টিকা বা ভ্যাকসিন
কিন্তু, টিকার চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে রয়েছে ঘাটতি
এর মধ্য়েই কোভ্যাক্সিন নিয়ে সুখবর দিল ভারত বায়োটেক
গোটা দেশে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ। নতুন সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এই অবস্থায় মহামারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারে টিকা বা ভ্যাকসিন। যত বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিড টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পাবেন, ততই পরাজিত হবে করোনা। সমস্যা হল, সারা দেশেই টিকার চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় করোনার টিকা তৈরির সক্ষমতা সম্প্রসারণের ঘোষণা করল হায়দরাবাদের ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৭৪ লক্ষ মানুষ, যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের কাছাকাছি। আর শুধু প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ১১ কোটি মানুষ। কাজেই, ১১০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে টিকার চাহিদাটা কতখানি হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। ভারতে প্রথম যে দুটি করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল, সেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন-এর উৎপাদন ক্ষমতা কত? সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের আনুমানিক উত্পাদন ক্ষমতা প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০ কোটি ডোজ। আর এতদিন ভারত বায়য়োটেকের শমতা ছিল প্রতি মাসে ১ কোটি ২৫ লক্ষ বা বছরে ১৫ কোটি ডোজ কোভাক্সিনের উত্পাদন করার। এই সক্ষমতাই এদিন বাড়িয়ে, বছরে ৭০ কোটি ডোজে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত বায়োটেক।
জানা গিয়েছে, এই লক্ষ্যে হায়দরাবাদ এবং ব্যাঙ্গালোরের সংস্থার বিভিন্ন সুবিধাগুলিতে ধাপে ধাপে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি একটি দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। এর জন্য কয়েক কোটি টাকা এবং কয়েক বছরের বিনিয়োগের প্রয়োজন। তার উপর তারা যে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলি তৈরি করে, তা উত্পাদন করা অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল, ফলে ফলনও কম হয়। তা সত্ত্বেও মহামারিকালে ভারত বায়োটেক স্বল্প সময়ের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের উত্পাদন ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন - করোনা আবহে ভোট - মমতার হুঙ্কারেও কমছে না মোদীর সভা, তবে বদলে যাচ্ছে তার চেহারা
আরও পড়ুন - সংক্রমিত অন্তত ৭১ জন - মমতার অভিযোগই কি সত্যি, করোনা সংক্রমণে কতটা দায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী
আরও পড়ুন - ২৪ ঘন্টা ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছে করোনা রোগীর দেহ, বাংলায় ফিরল আতঙ্কের সেই দিন
কাজে লাগানো হচ্ছে সংস্থার বিএসএল-৩ সুবিধাগুলিকে। ইতিমধ্যেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিকস বা আইআইএল-এর সঙ্গে কোভাক্সিন উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তি করেছে ভারত বায়োটেক। এছাড়া এই ধরণের আরও অন্যান্য ব্যবসায়ীক অংশীদারদের সন্ধান করছে সংস্থা। এখনো পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে উৎপাদন সংক্রান্ত চুক্তি করতে পারে ভারত বায়োটেক।