সুপ্রিম কোর্টকে টিকাকরণের রোডম্যাপ দিল কেন্দ্র
ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে প্রয়োজন ১৮৭-১৮৮ ডোজ
টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৫.৬ শতাংশ
বাকিরা কবে পাবেন করোনার টিকা
শনিবার সুপ্রিম কোর্টকে টিকাকরণের রোডম্যাপ জমা দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অন্তত পাঁচজন টিকা নির্মাতার কাছ থেকে প্রায় ১৮৮ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। যা দিয়ে এই বছরের শেষের মধ্যেই ভারতের সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকার দুটি করে ডোজ দিয়ে দেওয়া যাবে। তবে এতদিনে ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৫.৬ শতাংশ করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা প্রায় ৯৩ থেকে ৯৪ কোটির মতো। ফলে তাদের সকলকে করোনা টিকার দুটি করে ডোজ দিতে আনুমানিক ১৮৬ থেকে ১৮৮ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন। এরমধ্যে ২৫ শে জুন অবধি সারাদেশে ৩১ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৫১.৬ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে দেওয়া হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই। তারপর আরও প্রায় ১৩৫ কোটি টিকার ডোজ প্রয়োজন।
এই ১৩৫ কোটি ডোজ কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, তাই নিয়ে একটি রোডম্যাপ পেশ করেছে কেন্দ্র। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্য়েই ভারতে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুটনিক ভি টিকাকেও গত এপ্রিল মাসে জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আরো দুটি দেশীয় ওষুধ তৈরি সংস্থা বায়োলজিকাল ই এবং জাইডাস ক্যাডিলা-র থেকে ভ্যাকসিনগুলি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জাইডাস ক্যাডিলা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্যও একটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে, সেই টিকাও শিগগিরই পাওয়া যাবে।
এছাড়া, টিকাকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিভাজনও দূর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কোউইন অ্যাপে নাম না নথিভুক্ত করিয়েও নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে এখন সকলেই টিকা নিতে পারছেন। এর ফলে গ্রামীন এলাকায় টিকাকরণের গতি বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতের গ্রামীন জনসংখ্য়ার ৫৬.২৪ শতাংশ মানুষ টিকার অন্তত একটি করে ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। গ্রামীণ জনতা এই জবগুলো গ্রহণ করেছে। এছাড়া, ২১ জুন থেকে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদেরও বিনামূল্যে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের জমা দেওয়া হলফনামাটি ৩০ জুন পরীক্ষা করবে।