করোনার টিকা নেবেন না, স্ত্রী-র আধার কার্ড নিয়ে গাছে চড়লেন ব্যক্তি

  • করোনার টিকা কিছুতেই নেবেন না 
  • স্ত্রী-র আধার কার্ড সঙ্গে নিয়ে গাছে চড়লেন ব্যক্তি
  • অনেক বুঝিয়েও নামানো গেল না গাছ থেকে
  • ধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার পাতান কালান গ্রামের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : Jun 27, 2021 11:56 AM IST / Updated: Jun 27 2021, 05:29 PM IST

নিজে তো নেবেই না। স্ত্রীকেও কোনওভাবেই নিতে দেবেন না। আর স্ত্রী যাতে গিয়ে করোনার টিকা না নিয়ে নেন তার জন্য স্ত্রীর আধার কার্ড নিয়ে সোজা গাছে চড়ে বসলেন ব্যক্তি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার পাতান কালান গ্রামে।

আরও পড়ুন- 'সংবিধান পড়েননি', ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডে CBI তদন্তের ইস্যুতে দিলীপকে নিশানা কল্যাণের

করোনার টিকাকরণ শিবির তৈরি করা হয়েছিল ওই গ্রামে। শিবিরে গিয়ে গ্রামবাসীদের টিকা নিতে বলেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেক গ্রামবাসীই টিকা নিতে যান শিবিরে। কানওয়ারলাল নামে ওই ব্যক্তিও শিবিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন যে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরপরই বেঁকে বসেন তিনি। কোনওভাবেই তাঁকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফাঁক বুঝেই শিবিরের কাছে থাকা একটি গাছে চড়ে বসেন।

এদিকে তাঁর স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়ে টিকা নিতে রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। টিকাকরণের জন্য তাঁকে শিবিরেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, স্ত্রীও যাতে টিকা নিতে না পারেন তার জন্য স্ত্রীর আধার কার্ড নিয়েই গাছে চড়ে বসেছিলেন তিনি। আসলে করোনা টিকাকরণের সময় আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র আবশ্যিক। এদিকে গাছ থেকে কানওয়ারলালকে নামার জন্য অনেকবার অনুরোধ করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু, কিছুতেই তাঁকে রাজি করানো যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার পরই ধীরে ধীরে গাছ থেকে নামেন তিনি। 

আরও পড়ুন- 'রাজবংশীদের উপর তৃণমূলের অত্যাচার বন্ধ না হলে আমরা আছি', কেএলও-র হুমকি পোস্টার চোপড়ায়

একথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ রাজীব। কথা বলেন কানওয়ারলালের সঙ্গে। অনেক বোঝানোর পর কানওয়ারলাল টিকা নিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, "অনেক বোঝানোর পর ওই ব্যক্তির মনে টিকা নিয়ে যে ভয় ছিল তা দূর হয়েছে। এরপর যখন গ্রামে টিকাকরণ শিবির হবে তখন তিনি ও তাঁর স্ত্রী টিকা নেবেন।"

২১ জুন যেদিন দেশে মাত্র একদিনে ৮৪ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছিল সেদিন শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ১৬.৯৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। তবে সব দিন সেখানে টিকাকরণের পরিমাণ এক থাকে না। ২০ জুন মাত্র ৬৯২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২৩ জুন ৪ হাজার ৮৪২ জনকে টিকা দেওয়া হয়।  
 

Share this article
click me!