করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন সুনামিতে পরিণত হয়েছে। দেশে টানা সাতদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেল। দিল্লি, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চলছে। গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ কিছু রাজ্যে নাইট কার্ফু সহ বেশ কিছু কড়া কোভিড বিধিনিষেধ আছে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি পেলেও এখনও লকডাউনের পথে হাঁটেনি। গত একদিনে দেশের ৮টি রাজ্য থেকে করোনায় মৃত্যুর খবর আসেনি। তবে করোনা দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। সবচেয়ে চিন্তার হল সংক্রমণের শৃঙ্খল কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না।
সংক্রমণের শৃঙ্খল রোখার কথা এলেই লকডাউনের প্রসঙ্গ আসে। আর তাই দেশের ১৫০টি জেলা, যেখানে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি সেখানে লকডাউনের পথে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এমন খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ক দিন আগেই দেশের রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ হিসেবে বলা হয়, যেখানে করোনা সংক্রমণ বেশি সেখানে যেন এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ও কড়া করোনা বিধি লাগু করা হয়।
আরও পড়ুন: কুম্ভমেলায় শাহি স্নান, হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, বুধবার থেকে জারি কারফিউ
ক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, লকডাউন হোক একেবারে শেষ অস্ত্র। বিজেপি শাসিত কর্ণাটক লকডাউনে যাওয়ার পর আরও কিছু রাজ্যে আংশিক থেকে সম্পূর্ণ লকডাউনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজ্য নয় জেলাভিত্তিক লকডাউনের সম্ভাবনাই বেশি, অন্তত সংবাদামাধ্যমের রিপোর্ট তাই বলছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের যে সব জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার ১৫ শতাংশের হার বেশি সেখানে লকডাউন করার পথেই হাঁটতে পারে কেন্দ্র।
আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ঠিক হয় রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পরেই লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কড়া লকডাউন না হলেও ভাইরাসের শৃঙ্খলরোধের জন্য নিয়মে কিছু শিথিল রেখেই লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ধরে রাখা কঠিন হবে। আর তাই কেন্দ্র কড়া সিদ্ধান্ত নিলে অবাক হওয়ার থাকবে না।