সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেল না। একদিনে চার রাজ্যের নির্বাচন । অন্যদিকে উৎসব। সবমিলিয় ব্যস্ত ভারতবাসী। আর সেই সময় মহামারির কবলে প্রায় গোটা দেশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজারের বেশি। যা প্রথম করোনা-কালেও দেখা যায়নি। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭ জনের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ল লক্ষেরও বেশি। গতকালের তুলনায় কুড়ি হাজারেও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
লক্ষ্য শুধু হিন্দু ভোট নয়, সংখ্যালঘু ভোট টানতে কী কৌশল নিচ্ছে বিজেপি ...
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্তঃ ১,৮৪,৩৭২
দৈনিক মৃত্যুঃ ১০২৭
দৈনিক সুস্থঃ ৮২,৩৩৯
মোট আক্রান্তঃ ১,৩৮,৭৩,৮২৫
মোট সুস্থঃ ১,২৩, ৩৬,০৩৬
মোট মৃত্যুঃ ১,৭২,০৮৫
অ্যাক্টিভকেসঃ ১৩,৬৫,৭০৪
টিকাকরণঃ ১১,১১,৭৯,৫৭৮
পঞ্চম দফার ভোটই নবান্ন দখলের চাবিকাঠি, তৃণমূল নেত্রী মমতার কাছে কতটা কঠিন এই লড়াই ...
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে আমেরিকা। দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রভাবে ভারতে যখন সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল। কিন্তু এই দেশে প্রথম তরঙ্গের সময় যতটা শক্ত ছিল নজরদারী বর্তমানে তা নেই বলেও মহামারি এই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চার রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থদের অধিকাংশ সময়ই মাস্ক বিহীল অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের করোনাভাইরাস সংক্রন্ত প্রোটোকলও সবসময় মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভোট প্রচারে ভিড় যাতে কম হয় সেই দিকে কোনও নজর দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
টিকার ভাণ্ডার বাড়াতে বড় পদক্ষেপ, বিদেশী করোনা টিকার খোঁজে কেন্দ্র সরকার ...
গত বছর এই সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া জন্য কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছিল। উৎসব পালনে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু চলতি বছর তেমন কোনও বিধিনিষেধ নেই। যার অন্যতম প্রমান হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা। শাহী স্নানে জড়ো হয়েছেন প্রচুর ভক্ত। সেখানেও মুখে মাস্ক নেই। করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও চলছে ধর্মীয় আচর পালন। সূত্রের খবর গত দুদিনে কুম্ভমেলা আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবারই ৫৯৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮১২জন। ১৩ দিনের কুম্ভ মেলায় সাহী স্থানের জন্য প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে করোনভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৫।
তবে করোনাভাইরাসের রাজ্যগুলির শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে প্রায় লকডাউনের পথেই হাঁটছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি চালু রাখার কথা চিন্তুাভাবনা করছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিনেক এই রাজ্যে মুম্বই সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বর্তমানে জারি রয়েছে নাইট কার্ফু। স্থানীয়ভাবে লকডাউনও জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মহারাষ্টের গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ২১২।