সংক্ষিপ্ত
- টিকার মজুত বাড়াতে উদ্যোগ
- বিদেপি ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার উদ্যোগ
- করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
- কমছে ভ্যাকসিনের স্টক
দ্রুততার সঙ্গে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় দেশের টিকা সরবরাহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এররকমই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিদেশী টিকার জরুরি অনুমোদনের জন্য পথেই হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদ সংস্থা পিআইবি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে ও মজুত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত নীতি অনুয়াযী সংক্রমণ রুখতে এখন সবথেকে জরুরি টিকা। আর সেই কারণেই দেশ জুড়ে চার দিনের টিকা উৎসব চলছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে দুটি টিকা। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড। সম্প্রতি রাশিয়ার করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন স্পুটিনিক ভিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে গত বছরই টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। সেই কমিটির সিদ্ধান্তের ভারত প্রথম হয়েছে যে একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দুটি দেশীয় ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে।
মহামারি রুখতে ভ্যাকসিনের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত টিকা দানেরও ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। টিকা প্রদানে গতি আনতেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ভিকে পলের নেতত্বে কমিটির সদস্যরা একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন। আলোচনায় সুপারিশ করা হয়েছে, জাপান, ইউরোপীয় দেশগুলি যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে সেগুলি ভারতে ব্যবহার করা যায় কিনা তা দেখতে হবে খতিয়ে। এজাতীয় ভ্যাকসিনগুলি ১০০ জনকে দেওয়ার পর তাদেরকে বিশ্লেষণ করতে হবে। সেখানে কোনও সমস্যা না থকলে তবেই তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর এবছরই মহামারি মোকাবিলায় ৫টি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হবে। তালিকায় রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, জাইডাস ক্যাডিলা, সেরামের নোভাভ্যাক্স। ভারতের বায়োটেকের একটি নেজ্যাল ভ্যাকসিনও রয়েছে তালিকায়। গত সপ্তাহেই দিল্লি পঞ্জাব, তেলাঙ্গনা ও রাজস্থান জানিয়েছেন তাদের কাছে মজুত ভ্যাকসিনের সংখ্যা কমছে। অন্যদিকে দেশে দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি আরও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। সেই কারনেই ভ্যাকসিনের স্টক বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।