রাস্তায় পড়ে আছে দুটি পাঁচশো টাকার নোট
এর জন্যই রাতের ঘুম উড়ে গেল গোটা পাড়ার
ওই টাকার মধ্য়ে দিয়েই করোনা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ
এর পিছনে রয়েছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিওর অবদান
রাস্তায় পড়ে আছে দুটি পাঁচশো টাকার নোট। এমনি সময় হলে, যে কেউ চুপচাপ পকেটে ভরে চলে যেত। কিন্তু, করোনাভাইরাস পৃথিবী পাল্টে দিয়েছে। এখন এই দুটি নোটের জন্যই রাতের ঘুম উড়ে গেল উত্তরপ্রদেশের লখনউ-এর একটি পেপার মিল কলোনির বাসিন্দাদের। এমনিতেই করোনা-ধ্বস্ত লখনউ, সিল করে দিতে বাধ্য হয়েছে যোগী সরকার। তারমধ্যে নাকি কেউ বা কারা টাকার মাধ্যমে ইচ্ছে করে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে চাইছে, এমনটাই অভিযোগ তাদের। পুলিশ এসেও তাঁদের আতঙ্ক দূর করতে পারেনি। শুক্রবার বিকাল অবধি এই নোট রহস্যের কোনও কিনারা করা যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। পেরাপ মিল কলোনির এক বাসিন্দা প্রথম ওই রহস্যময় ৫০০ টাকার নোটদুটি পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই পাড়ার বাকিদের জানান। কীভাবে, কোথা থেকে ওই নোট এল তার কোনও খোঁজ তাঁরা পাননি। এরপরই বাসিন্দারা হেল্পলাইনের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে নোটগুলি বাজেয়াপ্ত করে। নোটগুলি আলাদা করে রেখে স্থানীয় এক চিকিৎসক-কে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে পুলিশ-কে বলেন নোটগুলি বিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ২৪ ঘন্টা রেখে দিতে। আপাতত নোটগুলি পুলিশের জিম্মায় ওভাবেই রাখা রয়েছে।
আদৌ নোটগুলিতে ভাইরাস আছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাসিন্দারা অবশ্য একেবারে নিশ্চিত, করোনভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই নোটগুলি রাস্তায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্য়ে এই আতঙ্ক, ছড়ানোর পিছনে রয়েছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও। ওই ভিডিও-তে একটি বাচ্চা ছেলেকে দেখা গিয়েছে, দরজাটি খুলে দরজার সামনেই একটি 500 টাকার নোট পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিতে। তারপর প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে, এবং একটি স্যানিটাইজার-এর বোতলটি হাতে নিয়ে সে সতর্কভাবে ফের দরজা খোলে। নোটটিতে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার স্প্রে করে, সেটি প্রতিবেশীর দরজায় দিকে ঠেলে দেয়।
মৃত্যুর পর জইশ জঙ্গিই হল করোনা-জেহাদি, কাশ্মীরে ভেঙে গেল লকডাউনের আগল
ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি, মৃত্যু ছাড়ালো ২০০-র গণ্ডি
করোনা কাড়ল আরও এক ডাক্তারবাবুর প্রাণ, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হচ্ছে টা কী
এই ভিডিও এখন ওই এলাকায় একেবারে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তার থেকেই একে অন্যকে সন্দেহ করাও শুরু হয়েছে। তবে, কারা এই ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়েছে তা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি। বস্তুত, এই ভিডিওটি ট্র্যাক করার কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি।