মৃত্যুর পর জইশ জঙ্গিই হল করোনা-জেহাদি, কাশ্মীরে ভেঙে গেল লকডাউনের আগল

জীবিত থাকাকালীন ছিল জইশ জঙ্গি

বুধবারই বারামুলায় সংঘর্ষে তার মৃত্য়ু হয়

এরপর সে হল করোনা-জেহাদি

তাঁকে ঘিরেই জম্মু ও কাশ্মীরে দেখা দিল সংক্রমণের আতঙ্ক

 

amartya lahiri | Published : Apr 10, 2020 1:52 PM IST / Updated: Apr 10 2020, 07:30 PM IST

জীবিত থাকাকালীন সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল গোলা-বন্দুক হাতে, মৃত্য়ুর পর সে হয়ে গেল করোনা-জেহাদি। তাঁকে ঘিরেই জম্মু ও কাশ্মীরের দেখা দিল করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। বুধবারই বারামুলা জেলার সোপোর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্য়ু হয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার, সাজাদ নবাব দার-এর। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাঁর শেষযাত্রায় ভেঙে গিয়েছিল কাশ্মীরে লকডাউনের আগল। কোভিড-১৯ প্রোটোকল এবং কেন্দ্রের পরামর্শসমূহ লঙ্ঘন করে সেই যাত্রায় অংশ নেন শয়ে শয়ে স্থানীয় মানুষ। ছিল না সামাজিক দূরত্ব-ও। এরপরই উপত্যকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অথচ, মৃত জঙ্গির অভিভাবকরা কথা দিয়েছিলেন, শেষযাত্রায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হবে, লকডাউন বিদি মেনে বেশি লোকও জড়ো হতে দেওয়া হবে না। মেডিক্যাল ও আইনী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর তাদের হাতে ওই জঙ্গির মৃতদেহ তুলে দেওয়ার সময় পুলিশ তাদের থেকে এই কথা রীতিমতো লিখিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও অবস্থা সামাল দেওয়া যায়নি।  

ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি, মৃত্যু ছাড়ালো ২০০-র গণ্ডি

করোনা কাড়ল আরও এক ডাক্তারবাবুর প্রাণ, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হচ্ছে টা কী

রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আবার টিভিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী, আসতে চলেছে বড় ঘোষণা

তবে, এদিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেষযাত্রায় কারা কারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধি না মানার সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের মধ্যে কোনওবাবে কোভিড-১৯ রোগ ছড়াচ্ছে কিনা, সেইদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮৪-তে, আর মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সোপোর-এর আরামপোড়া এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য এসেছিল ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর হাতে। তারপরই ওই রাতেই এলাকাটি ঘিরে ফেলে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী-কে দেখেই সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চুড়তে শুরু করেথছিল। রাতে সেই গুলির লড়াইয়ে না জড়িয়ে, সুরক্ষা বাহিনী ওই জায়গাটি ঘিরে রেখেছিল, যাতে অন্ধকারের সুযোগে জঙ্গিরা পালাতে না পারেষ পরদিন ভোরেই তাদের অভিযানে খতম হয়েছিল জঙ্গিরা।

Share this article
click me!