
নতুন বছরের প্রথম দিনেই করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নিয়ে আবারও সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার গভীররাতে স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষ থেকে বলে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে দ্রুত আছড়ে পড়তে চলেছে কোভিড-১৯এর (Covid-19) তৃতীয় তরঙ্গ। সেই সময় এই আক্রান্তের পরিসংখ্যন থাকবে ৮০ লক্ষ। মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে।
অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যস শুক্রবার অনেক রাতে সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি কোভিড ১৯-এর তৃতীয় তরঙ্গে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, তৃতীয় তরঙ্গে কোভিড সংক্রমণ খুবই বড় আকার নিতে চলেছে। যদি সেই সময় ৮০ লক্ষ কোভিড কেস থাকে, আর তাতে যদি মাত্র এক শতাংশ মানুষেরও মৃত্যু হয় তাহলেও মৃতের সংখ্যা হবে ৮০ হাজার। তিনি আরও বলেছেন যাদের এখনও টিকা পাননি বা নেননি ও দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদের কাছে তৃতীয় তরঙ্গ অত্যান্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট না থাকারও আর্জি জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের। তিনি বলেছেন ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া কখনই ঠিক নয়। ওমিক্রন নিয়ে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত বৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন ওমিক্রনের সঙ্গে এখনও এই দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। জিনোমিকক সিকোয়েন্সিং-এর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও ৭০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে ডেল্টার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট চিন্তার বলেও দাবি করেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা খুব কম। এই ঘটনা ওমিক্রন না টিকা দেওয়ার কারণে ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের পর্যাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখারও প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। প্রদীব ব্যাস জানিয়েছেন সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে টিকা বিহীন ব্যক্তিদের মধ্যেই কোভিড সংক্রমণ সবথেকে বেশি হচ্ছে। দ্বিতীয় তরঙ্গেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য সচিব সমস্ত বিভাগীয় কমিশনার জেলা কালেক্টর পৌর কমিশনার ও জেলা পরিষদের সিইওদের সতর্কবার্তাটি পাঠিয়েছেন।
শনিবারও মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৪৫৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের তুলনায় চার জন বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩১। যা গতকালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
Pakistan Defence: রাফালের পাল্টা J-10C, চিনা সাহায্যে শক্তিশালী হচ্ছে পাকিস্তান
Omicron ঠেকাতে কেন কার্যকর Covid Vaccine, ৫টি কারণ জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন
Haryana landslide: নতুন বছরের প্রথম দিনেই প্রকৃতিক দুর্যোগ, খনি এলাকায় ভূমিধসে মৃত ২