সংক্ষিপ্ত
চিনের হাতে যেসব সমর যান রয়েছে তারমধ্য এই J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট বিশেষগুরুত্বপূর্ণ। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে চিনের নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি। পাক মন্ত্রী রশিদ আহমেদ আরও জানিয়েছেন ভারতের রাফাল যুদ্ধ বিমানের জবাব দিতেই চিনের থেকে J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কেনা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিরাক্ষা ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজাচ্ছে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রশিদ আহমেদ জানিয়েছিলেন পাকিস্তান চিনের (China) কাছ থেকে একটি ফুল স্কোয়াড্রন মাল্টিরোল J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কিনেছে। আর্থার একলপ্তে পাকিস্তান হাতে পাচ্ছে ২৫টি যুদ্ধ বিমান। আগামী বছর এই যুদ্ধবিমানগুলি পাকিস্তান দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চিনের হাতে যেসব সমর যান রয়েছে তারমধ্য এই J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট বিশেষগুরুত্বপূর্ণ। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে চিনের নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি। পাক মন্ত্রী রশিদ আহমেদ আরও জানিয়েছেন ভারতের রাফাল যুদ্ধ বিমানের জবাব দিতেই চিনের থেকে J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কেনা হয়েছে। তবে বিমানের কথা ঘোষণা করার সময়ই পাকিস্তানের মন্ত্রী যুদ্ধবিমানের নামই ভুল বলেছেন। তিনি J-10C পরিবর্তে JS-10 যুদ্ধ বিমান নামে চিনা বিমানগুলির কথা উল্লেখ করেন। যদিও রশিদ তাঁর অভিজাত ইংরেজি মাধ্যম কলেজের স্নাতক সহকর্মীদের নিয়ে মজা করার জন্য নিজেকে উর্দু মাধ্যম কলেজের স্নাতক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন ভিআইপি অতিথিরা আসছেন ২৩ মার্চের পাকিস্তান দিবসে যোগ দিতে । সেইদিনই প্রথমবারের মতে জেএস-১০ (জে-১০সি) এর ফ্লাইট পাস্ট অনুষ্ঠিত হবেয পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর চিনের ফ্লাইপাস্ট করতা যাচ্ছে। রাফালের জবাবে জেএস-১০ যুদ্ধ বিমান বলেও দাবি করেন তিনি।
জে-১০সি চিনা যুদ্ধ বিমানটি গত বছর পাকিস্তান ও চিনের যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। সেই সময় পাকিস্তানের বাহিনী বিমানটিকে ভালো করে দেখার সুযোগ পেয়েছিল।যৌথ মহড়া শুরু হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। সেটি চলেছিল প্রায় ২০ দিন ধরে। এই মহড়ায় চিনের J-10C, J-11B. KJ-500 সতর্কীকরণ বিমান অংশ নিয়েছিল। এছাড়াই একটি ইলেকট্রনিস্ক যুদ্ধ বিমান ছিল। পাকিস্তানের JF যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে অংশ নেয় মিরাজ-3।
এছাড়াও পাকিস্তানের কাছে মার্কিন তৈরি F-16 যুদ্ধ বিমান রয়েছে। ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার পর থেকেই পাকিস্তান প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাঁচ বছর আগে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলি একে একে ভারতে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তা মোতায়েন করা হয়েছে পাকিস্তান ও চিন সীমান্তবর্তী এলাকায়।