কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যে সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য।
ওমিক্রন (Omicron) দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। এই তথ্য আগেই দিয়েছিলের বিশেষজ্ঞরা। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) জানিয়ে দিল কোভিড ১৯ (Covid 19) এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার (Delta) তুলনায় কমপক্ষে কংপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। মঙ্গলবার তেমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে তিনি সতর্কও করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যে সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই স্থানীয় ও জেলা স্তরে আরও বেশি দূরদর্শীতা, তথ্য বিশ্লেষণ গতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এটির কঠোর ও তাতক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও রাজ্যসরকারগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
চিঠিতে বলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান যেখানে ডেল্টার সংক্রমণ বেশি সেখানে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে আরও বেশি করে তথ্য বিশ্লেষণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও জানান হয়েছে।
রাজেশ ভূষণ আরও বলেছেন জেলা স্তরের কোভিড ১৯ সংক্রমণ রয়েছে, সেখানের জনসংখ্যা, ভৌগলিক বিস্তার, হাসপাতালের অবকাঠামোর দিকে সক্রিয় নজরের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোনের ওপর বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড ১৯ পজিটিভ মামলার নতুন ক্লাস্টারের ক্ষেত্রে কন্টেনমেন্ট জোন বাফার জোনগুলিকে অবহিত করা উচিৎ ও একটি কঠোর পরিধি নিয়ন্ত্রণ গঠন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত ক্লাস্টার এলাকার সংগৃহীত নমুনা দেরি না করে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ISACOG ল্যাবে পাঠাতে হবে বলেও জানিয়েছেন ভূষণ।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ভারতের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। যার মধ্যে ৭৭জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক আরও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি দুটি রাজ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। সেখানে কোভিড-১৯এর নতুন রূপে তেলাঙ্গনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন, কর্ণাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরলে ১৫ ও গুজরাটে ১৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকক।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নজরে বারাণসীর উন্নয়ন, একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ২৩ ডিসেম্বর
Omicron Infection: ওমিক্রনের 'কালো' ছায়া দেশের ১২ রাজ্যে, আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল
Omicron-এর সঙ্গে HIV-র সংযোগ, প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে COVID-19 নিয়ে নতুন গবেষণায়