সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে ভারতে নতুন করে ৫ হাডার ৩২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫২ হাজার ১৬৪ জন।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Minister) জানিয়েছে ভারতের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। যার মধ্যে ৭৭জনই সুস্থ হয়ে  বাড়ি ফিরে গেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক আরও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি দুটি রাজ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। সেখানে কোভিড-১৯এর(Covid-19) নতুন রূপে তেলাঙ্গনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন, কর্ণাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরলে ১৫ ও গুজরাটে ১৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে ভারতে নতুন করে ৫ হাডার ৩২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫২ হাজার ১৬৪ জন। এইদিন দেশে সক্রিয় করোনা কেস রয়েছে ৮৯ হাজারের কাছাকাছি যা গত ৫৭৪ দিন সর্বনিম্ন। 

সকাল আটটায় তথ্য অনুযায়ী দেশে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৩ জনের।  দেশে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৭৮,০০৭। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার পরিসংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছেন ২০২০ সালের মার্চ  মাসের পর এই প্রথম দেশে সুস্থতার হাত ৯৪.৪০। যা রীতিমত রেকর্ড বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের ইতিবাচক হারও অনেকটাই কমে ০.৫৩-তে এসে দাঁড়িয়েছে। গত ৭৪দিনে এটি সর্বনিম্ন বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ইতিবাচক হারও রেকর্ড করেছে। যা চলতি সপ্তাহে ০.৫৯ শতাংশ। গত ৩৭ দিন ধরে এটি এক শতাংশের নিচে ছিল। এই রোদে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার মানুষেক সংখ্যাও বাড়ছে।  ৩কোটি ৪১ লক্ষেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছে। যেখানে মৃত্যুর হারের রেকর্ড ১.৩৮ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে দেশে দেশে ১৩৮.৩৫ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯এর তৃতীয় তরঙ্গ আগামী বছর শুরুতে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় কোভিড সুপার মডেল কমিটি সদস্যরা মনে করছেন এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটাই হালকা হবে। তবে তৃতীয় তরঙ্গে যে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশানাল কোভিড ১৯ সুপার মডেল কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন ওমিক্রন  যদি ডেল্টার থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে তাহলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫০০এর মত হতে পারে। 

এই কমিটির প্রধান বিদ্যাসাগর বলেছেন, ওমিক্রন তৃতীয় তরঙ্গে একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। তবে দেশে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির কারণে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে অনেকটাই কম প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেছেন যে তৃতীয় তরঙ্গ যদি এই দেশে আছড়ে পড়ে তবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে ভারতে প্রতিদিন আক্রান্তের গড় ২ লক্ষেরও গণ্ডি ছাড়াবে না। এখন থেকেই ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও তিনি সাবধান করেছেন দেশের মানুষকে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি মানুষকে তিনি টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

COVID Third Wave: নতুন বছরে ওমিক্রনের হাত ধরেই ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ, ছবি তুলে ধরলেন বিশেষজ্ঞ

Viral Video Of Santa Claus: করোনাকালে উপহার পৌঁছে দিতে সান্তা ক্লজের অভিযান, হাসি ফুটল শিশুদের মুখে

Goa TMC: গোয়ায় কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত, কলকাতায় এসে তৃণমূলে অক্সিজেন দিলেন লরেনকো