লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৯ দিন বাড়িয়ে দেওয়ার পরই প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রীতিমত অস্ত্রে ধার দিতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে। অভিষেক মনু সিংভি থেকে শুরু করে পি চিদম্বরম। একের পর এক শীর্ষ নেতা গরীব ও অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে আরও ত্রাণের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি কংগ্রেসের অভিযোগ ২৫ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রব মোদী লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করা ছাড়া দেশকে নির্দিষ্ট কোনও পথ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। লকডাউন নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও গাইলাইন দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি টেনে এনেছেন শেক্সপিয়ারকে। তাঁর মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা অনেকটাই ডেনমার্কের রাজা ছাড়া হ্যামলেট গল্পের মত। লকডাউনের দেশের মানুষকে আর্থিক সুবিধে দেওয়ার মত কোনও ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী করেননি।
আরও সুর চড়িয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেসা নেতা পি চিদম্বরম বলেছেন, তাঁর দেশ কাঁদছে। মুখ্যমন্ত্রীরা আর্থিক সাহায্য চাইলেও কেন্দ্র যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা যথেষ্ট নয়। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে রঘুরাম রাজন থেকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক উপদেশ দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলি কার্যকর করতে চাইছে না।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় জরুরী পরিষেবা প্রদানকারীদের ধন্যবাদ মায়ের, আর ছেলে চাইলেন স্মার্ট লকডাউনআরও পড়ুনঃ জরুরী পণ্য পরিষেবা চালু রাখতে রো-রো সার্ভিস , ভিডিও ট্যুইট করে জানালেন রেলমন্ত্রীআরও পড়ুনঃ ২৪-এর সাধারণ নির্বাচন বাতিলের আর্জি, আর্থিক সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে মোদীর ওপর ভরসা রঙ্গোলীরআগামী ১৯ দিনের লকডাউনে দেশের গরীব মানুষের কাছে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। খাবার ও টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যাপ্ত পরিমানে মজুত রয়েছে। কিন্তু সেগুলি বিতরণ করার কোনও সদিচ্ছা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই বলেও অভিযোগ পি চদম্বরমের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউন প্রয়োজন। কিন্তু একই সঙ্গে এই সময় দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ান অত্যন্ত জরুরী বলেই সওয়াল করেছেন শশী থারুর। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনও রোডম্যাপ কেন্দ্রের হাতে নেই বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর অভিযোগ দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখানোই সরকারের কাজ। জনগণের দায়িত্ব উপলব্দি করানো থেকে অনেক বেশি জরুরী নির্দিশ গাইডলাইন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছ। মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।