প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লকডাউন হোক শেষ অস্ত্র। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটক প্রধানমন্ত্রীর বলা শেষ অস্ত্র লকডাউনই বেছে নিল। আগামিকাল থেকে দু সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে কর্নাটক। যে কর্নাটকে এখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। কাল, মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে কার্ফু জারি করে রাজ্যের লকডাউনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তবে লকডাউন নয়, ইয়েদুরাপ্পা সরকার এটার নাম দিয়েছে 'ক্লোজডাউন'। নয়া নামের লকডাউনে শুধু সকাল ৬টা থেকে ১০ পর্যন্ত জরুরি কাজের জন্য খোলা থাকবে। সকাল ১০টার পর একেবারে কঠোর লকডাউন। রাস্তায় কোনও গাড়ি চলবে না। দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
তবে কৃষিক্ষেত্র, উৎপাদন ও নির্মাণ ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়া সংক্রমণের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। কোনও মতেই আর সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যাচ্ছে না। তাই কোনও উপায় না দেখে ক্লোজডাউনের পথেই হাঁটল কর্নাটক।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে তৈরি হবে ৫৫১টি অক্সিজেন প্লান্ট, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় তরঙ্গে করোনা আক্রান্তের সুনামি চলছে দেশে, ভয় দেখাচ্ছে দৈনিক পরিসংখ্যন
লকডাউন যাতে কঠোর হয় সে বিষয়ে জোর দিচ্ছে কর্নাটক। একেবারে জরুরী কাজ ছাড়া কোনওভাবেই যাতে মানুষ বাড়ির বাইরে না যান তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। আইটি হাব বেঙ্গালুরুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩.৩৯ লক্ষ। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
একদিনে বেশি সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে দিল্লির ঠিক পিছনে দু নম্বরে রয়েছে বেঙ্গালুরু। কর্নাটকে প্রতি ৫ জনের করোনা পরীক্ষায় এক জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে। গতকালই, দিল্লি সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা করে। ঝাড়খণ্ডেও চলছে লকডাউন। মহারাষ্ট্র জুড়ে চলছে কার্ফু। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় উইকএন্ডে লকডাউন থাকে। কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ,পঞ্জাব, গোয়া, হরিয়ানার মত রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ রোধে নাইট কার্ফু চলছে।