সংক্ষিপ্ত
- করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
- রবিবার আক্রান্ত সাড়ে তিন লক্ষের বেশি
- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা
- আক্রান্তের তালিকায়ে শীর্ষ মহারাষ্ট্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যন দ্রুত গতিতে বাড়ছে। মাত্র তিন দিনেই দুই লক্ষ থেকে তিন লক্ষের গণ্ডি পার করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১২ জনের। করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ রীতিমত চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর। ইতিমধ্যে বেশ দিল্লি, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে শয্যা অমিল। বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদাও।
এক নজরে দেশে করোনা চিত্রঃ
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্তঃ ৩,৫৩,৯৯১
দৈনিক মৃত্যুঃ ২,৮১২
দৈনিক সুস্থঃ ২,১৯,২৭২
মোট আক্রান্তঃ ১,৭৩,১৩,১৬৩
মোট সুস্থঃ ১,৪৩, ০৪,৩৮২
মোট মৃত্যুঃ ১,৯৫, ১২৩
অ্যাক্টিভকেসঃ ২৮,১৩,৬৫৮
টিকাকরণঃ ১৪,১৯,১১,২২৩
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় শীর্ষ রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। দৈনিক সংক্রমণে রীতিমত উদ্বেগ বাড়ছে উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটকের মধ্যে। দুটি রাজ্যে দৈনিক সংক্রণের পরিসংখ্যন কর্ণাটকে ৩৪ হাজার ও উত্তর প্রদেশে ৩৫ হাজারের বেশি। আক্রান্ত রাজ্যের ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের বেশি। ক্রমতালিকায় রয়েছে অষ্টম স্থানে।
করোনা আক্রান্ত দেশের ক্রম তালিকায় ভারতের স্থান এখনও দ্বিতীয়। তবে রেকর্ড গতিতে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ২৮ লক্ষেরও বেশি করোনা সংক্রমিত নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বর্তমানে দুটি দেশেই করোনাভাইরাসের মহামারি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দ্বিতীয় তরঙ্গে ভারতের অবস্থানে নিত্যদিনই খারাপ হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উর্ধ্ব গতিতে। যা স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপোর্টে , করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের ধাক্কা সামালানোর জন্য টিকার ওপরেই আস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জুলাই মাসের মধ্যে টিকাকরণ সম্পন্ন করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে টিকার চাহিদাও বাড়েছে। কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের পাশাপাশি স্পুটিনিক ভি-কেও জরুরি অনুমোদনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি বিদেশী টিকা জরুরি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।