আবারও রাহুল গান্ধির তোপে কেন্দ্র
এবার প্রসঙ্গ স্যানিটাইজার আর চাল
দরিদ্র মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে
অভিযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা রাহুলের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের গোডাউনে মজুত চাল থেকেই তৈরি হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সোমবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। আর মঙ্গলবারই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে মাঠে নামলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। সোশ্যাল মিডিয়া রাহুল গান্ধি বলেন, ধনী মানুষদের হাত ধোয়ার স্যানিটাইজার তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে দেশের দরিদ্র শ্রেণির জন্য মজুত রাখা চাল।
রাহুল গান্ধি আগেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র দরিদ্র, শ্রমিক, দিনমজুরদের কথা না ভেবেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ লকডাউনের কারণে স্তব্ধ রয়েছে দেশের জনজীবন। এই অবস্থায় অনেক মানুষই অন্ন সংস্থান করে উঠতে পারছেন না। বহু মানুষ ক্ষুধার্ত রয়েছেন। কেন্দ্রের মোদী সরকার দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে তেমন উদ্যোগ নেয়নি বলেই অভিযোগ। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন রাহুল গান্ধি।
একই সঙ্গে দেশের দরিদ্র মানুষদের উদ্দেশ্যেও তিনি বলেন, আপনারা আর কখন জাগবেন? আপনি ক্ষুধার জ্বালায় মারা যাচ্ছেন। আর আপনার জন্য মজুত ধানের অংশ থেকে স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে। যা দিয়ে দেশের ধনী মানুষেরা হাত পরিষ্কার করবে আগামী দিনে। মঙ্গলবার সকালে হিন্দিতেই সোশ্যাল মিডিয়া এই বার্তা দেন রাহুল গান্ধি।
বিরোধি রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, লকডাউনের কারণে এই দেশের বহু মানুষেরই ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অনেক মানুষেরই দুবেলা খাবার জুটছে না। যদিও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছে। বিরোধীদের আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রের দাবি , লকডাউনে দেশের কোনও মানুষই যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি মানুষের কাছে খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও দাবি কেন্দ্রের। কিন্তু বিরোধীতা মানতে নারাজ। দিন কয়েক আগে অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুরাম রাজন একটি নামি গণমাধ্যমে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের দরিদ্র মানুষের খাবার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল দেশের গোডাউনে মজুত চাল এই সময় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলি করে দিলে অনেক সমস্যাই মিটে যাবে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে মজত চাল থেকে স্যানিটাইজার তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অত্যান্ত জরুরী বলেই মনে করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ করোনা ছড়ানোর পর ভারতে পিপিই সংকটের কারণও নাকি সেই চিন, অভিযোগ হোয়াইট হাউসের ...
অরও পড়ুনঃ বেঙ্গালুরুতে বসে চমক বঙ্গ বিজ্ঞানীর, করোনাকে জব্দ করতে 'ট্রিবই'মাস্কের আবিষ্কার ...
আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপতি ভবনের পরে এবার করোনার হামলা লোকসভাকেও, আক্রান্ত কর্মী হাসপাতালে ...