সংক্ষিপ্ত
বিশ্বে পিপিই ও মাস্কের সংকটের কারণ চিন
বর্তমানে চড়া দামে পিপিই আর মাস্ক বিক্রি করছে চিন
জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিতে এই সব কিনেছিল চিন
অভিযোগ হোয়াইট হাউস কর্তার
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেখান পথেই হাঁটছে হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস ইস্যতে আবারও কাঠগড়ায় দাঁড় করাল চিনকে। এবার অবশ্য সংক্রমণ ছড়ানো বা তথ্য গোপনের অভিযোগ নয়। এবারের অভিযোগ আরও মারাত্মক। হোয়াইট হাউসের এক কর্তার অভিযোগ, চিনের কারণেই ভারত ও ব্রাজিল সরকার চিকিৎসক ও জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করতে পারছে না।
হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য ও উৎপাদন বিভাগের কর্তা পিটার ন্যাভারোর বলেন, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে গোটা বিশ্ব থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই ও মাস্ক কিনে নিয়েছিল চিন। সেই সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথাও তারা বিশ্বের কাছে লুকিয়েছিল। আর সেই সময় কিনে নেওয়া পিপিই বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা মাস্ক এখন অত্যাধিক চড়া দামে বিক্রি করছে চিন। এই বিষয়ে তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমান রয়েছে বলেও দাবি করেছেন পিটার।
পিটারের কথায় তাঁক কাছে তথ্য প্রামান রয়েছে চিন সরকারের কাস্টমস বিভাগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ২০ লক্ষ মাস্ক কিনেছিল। পাশাপাশি প্রচুর গ্লাভসও কেনা হয়েছিল সেই সময়। বিশ্ব বাজার থেকে একসব জিনিস কিনেই থেকে থাকেনি চিন। তাঁর অভিযোগ বর্তামানে চিন সরকার এই সব প্রয়োজনীয় জিনিস ইউরোপ, ভারত আর ব্রাজিলের কাছে চড়া দামে বিক্রিও করেছে। এই জাতীয় ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এই ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে এই জাতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরও বেশি মাত্রায় উৎপাদনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পডুনঃ করোনা মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে তুলনা, ট্রাম্প বললেন রেকর্ড করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ...
আরও পড়ুনঃ করোনা সংকটের মাঝেই ভারতকে হুঁশিয়ারি চিনের, নতুন এফডিআই নীতির সমালোচনা ...
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে প্রথম থেকেই চিনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনের দায়িত্বজ্ঞাণহীনতার কারণেই এই জীবানু গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল মার্কিন প্রশাসন। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই হোয়াই হাউসের এক কর্তাও সরাসরি নিশানা করছেন চিনকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বেজিং। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যাও।