করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবার কি হাতিয়ার হবে ড্রোন, সেই পথেই লখনউর বিজ্ঞানী

 

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ড্রোন
  • ড্রোনের মাধ্যমে স্যানিটাইটার ছড়ানো
  • আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে
  • এই পথেই হেঁটেছিল চিন 

Asianet News Bangla | Published : Apr 7, 2020 6:53 AM IST / Updated: Apr 07 2020, 06:48 PM IST

রীতিমত ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ ছড়াতে বেশিক্ষণ সময়ও লাগে না। নিমেষেই  এই জীবানু একাধিক মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে। ভারতের মত জনবহুল দেশে তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেই সংক্রমণ রোখাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। হাসপাতল থেকে হটস্পট সব জায়গায় পরিচ্ছন্ন করে রাখাই প্রথম ও প্রধান শর্ত। আর সেই কাজে ড্রোনের ব্যবহার করতে উদ্যোগী লখনউর বিজ্ঞানী মিলিন্দ রাজে। 

রোবোটিক বিজ্ঞানী মিলিন্দ রাজে এখন উন্নমানের ড্রোন তৈরির কাজে ব্যস্ত। যে ড্রোন কম করে ৩০ লিটার স্যানিটাইজার বহন করতে ও সংক্রমিত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। মিলিন্দ রাজের কথায় তাঁর তৈরি ড্রোন এখনই ৭ থেকে ১০ লিটার স্যানিটাইজার বহন করতে পারে। আর সেই স্যানিটাইজার নির্দিষ্টস্থানে ছড়িয়ে দিতেও সক্ষম। করোনভাইরাসের সংক্রমণ রুথতে আগামী দিনে ৩০ লিটার স্যানিটাইজার বহন করার মত ড্রোন তৈরিতেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। 

 

মিলিন্দের কথায় ড্রোনের মাধ্যমে স্যানিটাইজার ছড়াতে ট্রান্সমিটার, মোবাইল ফোন বা একটি কম্পিউটারই যথেষ্ট। আর তাতে কোনও এলাকা বা হাসপাতাল অনেক ভালোভাবে পরিচ্ছন্ন করা যায়। কোনও একালা পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে বাকিদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙঅকাও অনেকটাই কমে যায়। এপ্রসঙ্গে মিলিন্দ চিনের উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, চিনের একটি রিপোর্ট বলছে ড্রোনের মাধ্যমে মানুষের থেকে ৫০ শতাংশ ভালো স্যানিটাইজ করা যায়। আর এতে সংক্রমণের আশঙ্কাও অনেক কম থাকে। 

আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেই উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, ম্যালেরিয়ার ওষুধের ফের রফতানি শুরু করছে ভারত

আরও পড়ুনঃ .মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট, তাতেই জানা যাবে আপনার শরীরে করনোভাইরাস রয়েছে কি

আরও পড়ুনঃ করোনায় মৃতদের মধ্যে কত শতাংশ রয়েছেন বয়স্করা, কী বলল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্ম আকার নিয়েছিল চিনের হুবেইতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঘরবন্দি করে রেখেছিল চিন প্রশাসন। সংক্রমণ রুখতে সেই সময় ড্রোনের মাধ্যমে স্যানিটাইজার স্প্রে করে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল একাধিক এলাকা। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে ড্রোনের  মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল স্যানিটাইজার।

ভারতের মত জনবহুল দেশে ড্রোনের মাধ্যমে স্যানিটাইজার ছড়িয়ে কোনও এলাকা বা হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করা অনেক বেশি সোজা কাজ। ঘিঞ্জি এলাকায় যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ ঢুকতে না পারে সেখানেও ড্রোন রীতিমত কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

Share this article
click me!