দুসপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি আবারও চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এবার তিনি অবিলম্বে দিল্লির সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প স্থগিত রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এই প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। উদ্দেশ্য ছিল মূলত পর্যটকদের আকর্ষিত করা। কিন্তু সনিয়া গান্ধি একটি চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন দিল্লি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা যেন করোনাভাইরাস মোকাবিলার কাছে খরচ করা হয়।
সনিয়া গান্ধি আরও বলেছেন এখনও অসংয়ত হওয়ার সময় নয়। তাই সংকট না কাটা পর্যন্ত যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
সনিয়া গান্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে আরও বলেছেন, এই মুহূর্ত আমাদের কাছে নতুন হাসপাতাল তৈরি অনেক বেশি জরুরী। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কিট কেনার ওপরেও তিনি জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি মনে করিয়েদিয়েছেন চিকিৎসকদের জন্য দেশে পর্যাপ্ত পার্সোলান প্রোটেকশন ইকিউপমেন্টও নেই। এই সময় যা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা অনেক বেশি জরুরী বলেই তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মিলে গেল কংগ্রেস-বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন জানিয়ে মোদীকে চিঠি সনিয়ার
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবার কি হাতিয়ার হবে ড্রোন, সেই পথেই লক্ষ্মৌর বিজ্ঞানী
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট, তাতেই জানা যাবে আপনার শরীরে করনোভাইরাস রয়েছে কি
আগামী দুবছেরের জন্য কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন না দিয়ে সেই টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠানোর কথাও বলেছেন তিনি। সনিয়া সরাসরি জানিয়েছেন দুবছরের জন্য কোনও টিভি চ্যানেল, খবরের কাজ ও ডিজিটাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে সেই টাকা করনোভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় খরচ করা হোক। বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য প্রতিবছর সরকার ১২৫০ কোটি টাকা খবর করে। এই টাকাই পিএম কোয়ার ফান্ড বা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সবরকমভাবে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে করোনাভাইরাস ও লকডউন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সমস্ত সাংসদদের বেতনের ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। কেন্দ্রেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি বলেন, সাংসদের বেতনের থেকে কেটে নেওয়া টাকা যেন দেশের অভিবাসী শ্রমিক, কৃষক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষার খাতে ব্যয় করা হয়।