সংক্ষিপ্ত

  • নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন সনিয়া গান্ধির
  • প্রধানমন্ত্রীকে ৪ পাতার চিঠি কংগ্রেস সভানেত্রীর
  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়েই আলোচনা
  • সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের

ভারতে ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করেনাভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৯। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পরিস্থিতি মোকিবালিয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে লকডাউনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লকডাইনের দ্বিতীয় দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন তাঁর  প্রথম ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি। আর সেখানেই সনিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউনের পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন জানাচ্ছে কংগ্রেস। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকমভাবে সহায্য করা হবে বলেও কংগ্রেস সভাপতির পদে থেকেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন। 

নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চার পাতার চিঠিতে করোনাভাইরাস মোকিবিলায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সনিয়া। তিনি জানিয়েছেন বর্তমান সময় বড় অস্থির। তাই করোনা-পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম রাজনীতি ও স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে কাজ করতে হবে আমাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ভারতবাসীর কাছে। 

 

আপাতত ছমাসের জন্য কেন্দ্র সমস্ত রকম সুদ মকুব করুক বলেও জানিয়েছে কংগ্রেস। ভারতের রাজনীতির অলিন্দি প্রধান দুই প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও বিজেপি। আর বিজেপির নিশানায় বারবারই এসেছে কংগ্রেস ও গান্ধি পরিবার। একটা সময় সনিয়াকে বিদেশী তকমা দিয়ে মসনদ থেকে দূরে রাখতেও পিছপা হয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। আর মোদী অমিতশাহর আমলে বিজেপির মূল লক্ষ্য সনিয়া ও রাহুলকে আক্রমণ। একই অবস্থা কংগ্রেসেরও। কংগ্রেসের তামাম নেতারা নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহর সমালোচনায় গলার শিরা চওড়া করেছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁচা থাকা আর বাঁচিয়ে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সব বিদ্বেষ প্রতিদ্বন্দীতা আর ক্ষমতার দন্দ্ব ভুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশে দাঁড়াল শতাব্দী প্রাচিন এই দলটি।  দলের প্রধান হিসেবে সনিয়ার এই পদক্ষপে রীতিমত সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের ভারতে আটকে প্রচুর বিদেশী পর্যটক, দেশে ফেরাতে বিশেষ বিমান

আরও পড়ুনঃ সাত পাকে বাঁধা সেই করোনা, বিয়ে পিছিয়ে সমাজকে বার্তা ২ আমলার

আরও পড়ুনঃ ডাক্তারের দেহেই করোনার বাসা, দিল্লিতে একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে ঢুকলেন ৮০০ মানুষ