কোভিডে মৃত্যু থাই মহিলার - সে কি বিজেপি সাংসদের ছেলের সঙ্গিনী, সরগরম লখনউ

টুরিস্ট ভিসা নিয়ে লখনউ-এ এসেছিলেন তিনি

কোভিড আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে

আর সেই মৃত্যুকে ঘিরেই সরগরম এখন লখনইউ

প্রশ্ন উঠছে বিজেপি সাংসদের পুত্রকে ঘিরে

 

Asianet News Bangla | Published : May 10, 2021 12:18 PM IST / Updated: May 10 2021, 05:59 PM IST

টুরিস্ট ভিসা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের লখনউ-এ এসেছিলেন এক ৪১ বছর বয়সী থাই মহিলা। আসার কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি কোভিড আক্রান্ত হন এবং গত ৩ মে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। কী উদ্দেশ্যে তিনি লখনইউ-এ এসেছিলেন, তা এখনও রহস্যাবৃত। তবে, তাঁর মৃত্যু ঘিরেই এখন সরগরম লখনউ-এর রাজনীতি। সমাজবাদী পার্টির দাবি, মৃতা বিদেশিনী বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় সেঠ-এর পুত্রের সঙ্গিনী। সঞ্জয় সেঠ-এর পুত্রই তাঁকে ভারতে এনেছিলেন।

স্থানীয় সংবাপত্রের খবর অনুযায়ী গত ২৮ এপ্রিল থাইল্যান্ড থেকে লখনউ এসেছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রকোপ যথেষ্ট প্রকট হয়েছে। ওই সময় উড়ান যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ওই মহিলা কীভাবে লখনউ এলেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা আই পি সিং-এর দাবি, ওই মহিলাকে ভারতেএনেছিলেন বিজেপি সাংসদের পুত্র। আর সেই কারণেই ময়না তদন্ত ইত্যাদি না করেই আগে ভাগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, মৃতার দেহের সৎকার করেছে। অবশ্য, এই অভিযোগ নস্যাত করে সঞ্জয় শেঠ প্রশ্ন তুলেছেন, কোন প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর ছেলেকে ওই থাই মহিলার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে, তা তিনি জানতে চান।  

আরও পড়ুন - তিকরি-র কৃষক আন্দোলনস্থলে গণধর্ষিতা বাঙালি শিল্পী, ৬ জনের নামে এফআইআর

আরও পড়ুন - করোনাধ্বস্ত ভারতের পাশে দ. কোরিয়াও, দিল্লি বিমানবন্দরে এল বিপুল চিকিৎসা সরবরাহ

আরও পড়ুন - ২৩ জুন কংগ্রেসে নির্বাচন, বিদ্রোহীদেরই জয় - 'ঘর গোছানো'র ডাক দিলেন সনিয়া

থাইল্যান্ডের ওই মহিলার ভারতের আগমনেক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এক স্থানীয় পর্যটন গাইডকে। তাঁর নাম সালমান খান। সে অবশ্য দাবি করেছে, ২৮ এপ্রিল, রাকেশ শর্মা নামে ওই মহিলার এক পরিচিত ব্যক্তির কথাতেই তিনি ওই মহিলাকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাকেশ সিং জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে থাই দূতাবাস থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও জানান, ওই মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দিল্লির কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় নিয়ে যাওয়া যায়নি।

থাই দূতাবাসের নির্দেশেই তাঁকে প্রদান করা হয়েছিল ওই মহিলার দেহ, এমনটাই দাবি সালমানের। তাঁর উপস্তিতিতেই লখনউ পুলিশ মরদেহ দাহ করে। থাই দূতাবাসের অনুরোধে সেই ঘটনা লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে দেখানোও হয় মৃতার পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু, সালমানের অভিযো, এরপর থেকেই কিছু সংবাদপত্রে ভুয়ো খবর বের হওয়া শুরু হয়, যা থেকে এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকী, মৃতার পরিবার এই বিষয়ে ভারতে এসে সাক্ষ দিতে অবধি প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন তিনি।

 

Share this article
click me!