শ্মশান বন্ধের জেরে করোনা রোগীর দেহ আগলে প্রায় ১ দিন বিধাননগরের করুণাময়ী আবাসনের পরিবার। গতকাল সন্ধে থেকে বাড়িতে পরে করোনার আক্রান্তের মৃতদেহ, মৃতদেহ আগলে বসে পরিবার। অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। শেষমেষ ১৬ ঘন্টা পর মৃতদেহ নিয়ে গেল প্রশাসন।
সল্টলেক করুণাময়ী এফ ৫৪/৭ আবাসনের বাসিন্দা বৃদ্ধ মহিলা গীতা কুমারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৮৫ বছর। ঘটনার কথা প্রশাসনকে জানানোর পরেও প্রায় ১৫ ঘন্টা কেটে যাওযার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে আবাসিকদের অভিযোগ। আবাসনেরই এক বাসিন্দা মানষ দাস জানিয়েছেন, "সবাইকে জানানোর পরেও কেউ এখন মৃতদেহটিকে উদ্ধারের কাজে আসেননি।" তাদের আরো অভিযোগ মৃত মহিলা যে করোনার আক্রান্ত তা তারা জানতেন না। পরিবার মৃতদেহ আগলে বসে আছে এবং সকলেই করোনায় আক্রান্ত বলে অনুমান তাদের। প্রায় ১৫ ঘন্টা কেটে গেলেও মৃতদেহ ওই ভাবেই পড়ে আছে। বিধাননগর কর্পোরেশন থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ আবাসিকদের। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে গোটা আবাসনের আবাসিকরা।
আরও পড়ুন, কোভিডে বড় পদক্ষেপ বেলুড়ের, বিনামূল্যের করোনা পরীক্ষা করতে ফোন করুন পুরসভার এই নম্বরে
এই বিষয়ে পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক পদের দায়িত্বে থাকা প্রণয় কুমার রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, 'বেলঘড়িয়া এবং কামারহাটির শ্মশান ছাড়া এই এলাকার মৃতদেহ পাঠানো যায় না। সেখানে বেলঘড়িয়ার শ্মশানে রাত ৮ টার পর দেহ নেওয়া হয় না।অন্যদিকে কামারহাটির শ্মশানে রাত ১০ টার পর আর দেহ নেওয়া হয় না। কিন্তু তার উপর কামারহাটির শ্মশান বর্তমানে বন্ধ আছে। ফলে বেলঘড়িয়া শ্মশানের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ওই দেহটিকে উদ্ধার করে বার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।' শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৬ ঘন্টা পর করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। স্বভাবতই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আবাসিকরা।