করোনার ছোবল এবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও। সংক্রমিত হলেন মুম্বই ফেরত যুবক। আক্রান্তের বাবাকে পর্যবেক্ষণে রাখাই শুধু নয়, গ্রামের সকলকেই হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। সিল করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের প্রবেশপথটিও।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কোমড় বেঁধে লড়ছে জেইউ, আওয়াজ উঠল 'যাদবপুর জিন্দাবাদ'
করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়ি দাসপুরের নিজামপুরে গ্রামে। মুম্বইয়ে সোনার কাজ করতেন তিনি। ২২ মার্চ বাড়ি ফেরেন ওই যুবক, ট্রেন থেকে নামেন পাঁশকুড়া স্টেশনে। এরপর বাসে করে কিছু পথ যাওয়ার পর মারুতি ভ্যানে চেপে পৌঁছন নিজামপুর গ্রামে, নিজের বাড়িতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। লক্ষণ সন্দেহজনক হওয়ায় রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালে আইসোলেশন থাকার সময়ই ওই যুবকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্ত যুবককে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর বাবা ভর্তি মেদিনীপুর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে 'লিংক ফেল'-এর নোটিশ, অফিসে থেকেও 'নেই' পোস্ট অফিসের কর্মীরা
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে হু-হু করে বাড়ছে 'বাংলার' দাম, দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে 'রাম'
মঙ্গলবার সকালে দাসপুরের নিজামপুর গ্রামের প্রবেশপথ সিল করে দেয় পুলিশ। গ্রামবাসীদের আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের। গ্রামে বসেছে মেডিক্যাল ও পুলিশ ক্যাম্পও। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, জেলার সর্বত্র কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশের আধিকারিকরা। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি করা হয়েছে টাস্ক ফোর্সও। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুরের শহরের দুই প্রান্তে করোনা হাসপাতাল তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে।