করোনার ভয়ে দিল্লি থেকে পালিয়ে নদিয়াতে তরুণী, বাড়ি ফিরেই উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে

  •  উপসর্গ নিয়েই দিল্লি থেকে পালিয়ে কলকাতায়, এক তরুণী 
  •  এদিকে দিল্লিতে ওই তরুণীর দুই দাদা করোনায় আক্রান্ত 
  • ওই তরুণীকেও দিল্লিতে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয় 
  •  সে কথা না শুনেই কলকাতা হয়ে সে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন 

Ritam Talukder | Published : Mar 26, 2020 9:05 AM IST

করোনার ভয়ে উপসর্গ নিয়েই দিল্লি থেকে পালিয়ে কলকাতায় এলেন এক তরুণী। আর এদিকে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসে নিজের ও পরিবারের বিপদ ডেকে এনেছেন নদিয়ার তেহট্ট ২ ব্লকের ওই তরুণী। এদিকে দিল্লিতে তরুণীর দুই দাদা করোনায় আক্রান্ত।

আরও পড়ুন, কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১, রাজ্য়ে সংখ্যা বেড়ে এবার ১০

জানা গিয়েছে, তাঁর দুই দাদা করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি। ওই তরুণীকেও দিল্লিতেই হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে কথা না শুনেই কলকাতা হয়ে দিন চারেক আগে ওই তরুণী বাড়ি ফিরে আসেন। গত মঙ্গলবার ওই তরুণীর শরীরে করোনা উপসর্গ স্পষ্ট হতে থাকে। তাঁকে ও তাঁর সংস্পর্শে আসা ১২ জনকে বুধবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বৃদ্ধ এবং শিশু সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ জন আছেন। এদিকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিল মাত্র চারটি শয্যা। তাই দ্রুত তেহট্টের কর্মতীর্থে কোয়রান্টিন সেন্টারে ১৬ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে। সব মিলিয়ে নদিয়া জেলায় মোট ১৭ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। 

আরও পড়ুন, এবার করোনা হাসপাতাল রাজারহাটে, থাকছে একাধিক চিকিৎসক সহ ৫০০টি বেড


অপরদিকে হোম কোয়রান্টিনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে জ্বর আসাতেও চিন্তা বেড়েছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের। তবে এখনও পর্যন্ত তেহট্ট ১ ব্লকের এক বাসিন্দা ছাড়া কারও করোনা উপসর্গ দেখা যায়নি। বাকি যাঁদের জ্বর এসেছে তাঁরা অন্য সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান। কিন্তু এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিন্তও হওয়া যাচ্ছে না। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা আশঙ্কা করে জানান যে, 'যত দিন যাবে ততই পরিস্থিতি জটিল হতে থাকবে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।' 

আরও পড়ুন, গমগম করা ভিক্টোরিয়া যেন একেবারে ভুতুড়ে বাড়ি, খাঁ খাঁ করছে গোটা চত্বর, দেখুন ভিডিও
 

Share this article
click me!