অনেকেই এখনও লকডাউনকে হাল্কাভাবে নিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব না নেমে আয়োজন করা হচ্ছে ধর্মীয় সমাবেশের। এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। ভিডিও বার্তায় সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলায় লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা সতর্কতায় আর কতদিন লকডাউন চলবে? শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাস্ক পরে সচেতনতার বার্তাও দিলেন তিনি। বৈঠকে বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই লকডাউনের সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন। বস্তুত, নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চালু রাখার ঘোষণাও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত স্কুল ও কলেজ। কিন্তু তাতে কি আদৌ সমস্যা মিটবে? করোনা প্রতিরোধ নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে। চিঠিতে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও রাজ্যপুলিশের ডিডি বীরেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, রাজাবাজার, তপসিয়া, মেটিয়াবুরুজ-সহ কলকাতা বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। এমনকী, বিনামূল্য রেশন বিলির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই লকডাউন নিয়ে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
আরও পড়ুন: ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের স্কুল-কলেজ, নয়া ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত মধ্যমগ্রামের কাউন্সিলর, পুরো ওয়ার্ডকেই পাঠানো হল হোম কোয়ারেন্টাইনে
শনিবার ভিডিও বার্তা-সহ টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। তিনি বলেন, ' আমি পশ্চিমবঙ্গে মানুষের কাছে একটি আবেদন করতে চাই। আমার কাছে খবর এসেছে যে, লকডাউনকে হাল্কাভাবে নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। অনুরোধ করছি, সামাজিক দূরত্ব যদি একশো শতাংশ বজায় না থাকে, তাহলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এমনও খবর আছে, যে অনেক জায়গায় ধর্মীয় সমাবেশও হচ্ছে। নিজামুদ্দিনের ঘটনায় বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। সবাইকে আবেদন করছি, সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন।' এখানেই শেয় নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে,বিনামূল্যে রেশন বিলির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ না করারও অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।