গত ডিসেম্বর উহান শহরে প্রাদুর্ভাব হওয়া করোনা ভাইরাসের দাপটে একেবারে ওষ্ঠাগত মানবসভ্যত। পৃথিবীত তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে যা যথেষ্ট ভয় ধরানোর। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা গোটা বিশ্বজুড়ে ৩ লক্ষ ৮০ হাজারের বেসি। মারা গিয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি।
বিশ্বে যে গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে প্রথম এক লক্ষ মানুষের এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ২ মাসের বেশি ৬৭ দিন। আর সংখ্যাটা এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষে পৌঁছতে লেগেছিল ১১ দিন। কিন্তু ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন। দ্রুতগতিতে এই সংক্রমণের বৃদ্ধিই এখন ভাবাচ্ছে 'হু'-কে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাধি ইতালিতে মাত্র ৩ জনের শরীরে মিলেছিল করোনা সংক্রমণ। সেখানে থেকে ইউরোপিয় এই দেশটিতে ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে দাবানলের গতিতে। বর্তমানে ইতালিতে করোনা আক্রাস্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে । মৃতের সংখ্যা পার করে গেছে ৬ হাজারের সীমা। পরিস্থিতি যে ক্রমেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে সেসম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন হু-এর প্রধান টেডরস আধানম গোব্রিয়াসেস। কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ দেশে ভাইরাসটির পরীক্ষার সঠিক ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় রোগটির প্রতিরোধে আরও শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে হবে বলেই জানাচ্ছেন হু-এর প্রধান।
রাজপথে ছেড়ে দিয়েছেন ক্ষুধার্ত বাঘ-সিংহ, এভাবেই নাকি রাশিয়ায় করোনা আটকাচ্ছেন পুতিন
১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, অবশেষে করোনা আতঙ্কে স্থগতি হল টোকিও অলিম্পিক
করোনা আক্রান্তদের জন্য আলাদা হাসপাতাল, ২ সপ্তাহে তৈরী করলেন মুকেশ অম্বানি
তবে এই আশঙ্কার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। করোনায় আখনও পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজারের মত আমনুষ। আর মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সুতরাং মৃতের পরিমাণ মোট আক্রান্তের ৪ শতাংশের একটু বেশি। আর এই ভাইরাসের কবল থেকে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৭১ জন। এই পরিমাণ আক্রান্তের হিসেবে ২৭ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ প্রতি চার জন আক্রান্তের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ায় যেমন আশঙ্কার মেঘ তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই এই রোগে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যায় আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করতে পারলেই এই ভাইরাসের হাত থকে রক্ষা পাওয়া যায়। চিন ইতিমধ্যে সেটা করে দেখিয়েছে। সেই পথেই এমন এগোচ্ছে ইতালি, আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ।