অক্সিজেন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার এমনকি অক্সিজের উৎপাদনকারী মূল সংস্থা আইনওএক্স (INOX)দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের ওপরই দায় চাপাল। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের শুনানির সময় দিল্লি সরকারের প্রতিপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকার ও আইএনওএক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে দিল্লি সরকার 'সম্পূর্ণ গন্ডোগল ' তৈরি করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোটা দেশে ৮০০ টিরও বেশি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে তারা। কিন্তু তাদের পরিষেবা নিয়ে শুধুমাত্র দিল্লির সরকারই অভিযোগ করেছে। আইএনওএক্স জানিয়েছে দিল্লির জন্য বরাদ্দ ১০৫ মেট্রিকটন অক্সিজেনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পানিপথ থেকে ৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন পরিবহন করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ রুখতে ডাক অবসরপ্রাপ্ত সেনা ডাক্তারদের, প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন বিপিন রাওয়াত
অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থাটি জানিয়েছে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তারা যে নির্দেশ পেয়েছে তাও পরস্পর বিরোধী। দিল্লি সরকার গতকাল হাসপাতালগুলিতে ১২৫ মেগাটন অক্সিজেন সরবরাহের কথা বলেছিল। তার আগের দিন এই নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দিল্লির জন্য বরাদ্দ মাত্র ৮০ মেগাটন অক্সিজেন। তাই তারা কিছুটা হলেও দিশেহারা হয়েঠে গেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা দেশের ৮০০টি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করছে। কিন্তু অক্সিজেন নিয়ে শুধু অভিযোগ তুলেছে দিল্লি সরকারই।
দ্বিতীয় তরঙ্গে করোনা আক্রান্তের সুনামি চলছে দেশে, ভয় দেখাচ্ছে দৈনিক পরিসংখ্যন ...
কেন্দ্রীয় সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, আগে থেকেই সমস্ত রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন ব্যবহার নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। অক্সিজেন যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অক্সিজেন উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খালি ট্যাঙ্কার পাছান হচ্ছে। অক্সিজেন এক্সপ্রেসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন তামিলনাড়ু ও কেরল অক্সিজেনের ন্যায় সংগত ব্যবহার করছে। অক্সিজেন নিয়ে রাজ্যগুলি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তারপরি তুষার মেহতা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়েছে,রাজ্য সরকার শুধুমাত্র ট্যাঙ্কার সংগ্রহ করতে পারে। অক্সিজেন কেনা কেন্দ্রের হাতে রয়েছে। দিল্লির সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাহুল মেহরা বলেন এই চিঠি অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার সংগ্রহের জন্য। দিল্লি সরকার অক্সিজেন নিয়ে জটিলতা তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের সিনিয়ন অ্যাডভোকেট শচীন দত্ত। তিনি বলেন দিল্লি সরকার সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করেছে। অভাব ও অনিশ্চিয়তা রয়েছে। কিন্তু দিল্লি সরকার শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে পারছে না। তুষার মেহতা দিল্লির হাসপতাগুলির সঙ্গে দিল্লির সরকারকে একটি বৈঠকের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। কিন্তু তার সঠিক বিতরণের প্রয়োজন।