বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, 'এই মহামারী আগেও আমাদের চমকে দিয়েছিল। সেই আতঙ্ককে ভুলে গেলে বোকামো করা হবে।'
করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখনও শেষ হয়নি। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি ডব্লিউএইচও। বিশেষ বিষয় হল বিশ্বের কিছু অংশে করোনার নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি ৫টি জরুরি পরিস্থিতিতে ৫টি বিষয় খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, 'এই মহামারী আগেও আমাদের চমকে দিয়েছিল। সেই আতঙ্ককে ভুলে গেলে বোকামো করা হবে।' WHO সতর্ক করেছে, 'বিশ্বের কিছু অংশে মানুষ মনে করে মহামারী শেষ হয়ে গেছে। এটি একটি জনস্বাস্থ্যের সাধারণ ঘটনা হিসাবেই ধরছেন সবাই। তবে বিশ্ব জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের ওপর আবার আঘাত হানতে পারে করোনা, তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি।
WHO এর পরামর্শ
মহামারী শেষ করতে পাঁচটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে কোভিডের ভেরিয়েন্টের ট্র্যাকিং, রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা ক্ষমতা বাড়ানো, টিকাদান, সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিত্সার অ্যাক্সেস এবং মহামারী প্রস্তুতির জন্য একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক পরিকাঠামো।
সংস্থাটি বলেছে যে COVID-19 এখনও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি করতে সক্ষম। তাই করোনা ভাইরাসকে হালকা ভাবে নিলে চলবে না। তবে হু এমন সময়ে এই ঘোষণা সামনে এনেছে, যখন মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। গত সপ্তাহে ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনস ইমার্জেন্সি কমিটি তার ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছে, এই নতুন ওমিক্রন আগের প্রত্যেকটি প্রজাতির চেয়ে অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত অভিযোজন করে চলেছে করোনা ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের ইত্যাদি দেশেও সংক্রমণের হার বেশ গতিশীল। ভারতের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গেছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই এড়িয়ে গিয়ে উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে প্রচণ্ড দক্ষ ‘ওমিক্রন স্পন’। এখনও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লেও যেহেতু দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই এর অস্ত্বিত্ব পৌঁছে গিয়েছে, তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
নতুন করোনায় আক্রান্ত হলে জ্বর, গলা ব্যথা, শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা, এই জাতীয় লক্ষণগুলি সাধারণভাবে দেখা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জোড়া টিকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় মেপে বুস্টার ডোজও নিয়ে নিতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-- পরবর্তী প্রজন্মের এয়ারক্র্যাফ্ট AMCA তৈরি নিয়ে মুখ খুলল DRDO, জানুন যুদ্ধ বিমানের বৈশিষ্ট্য
আরও পড়ুন-- উৎসবের মরশুমে 'ব্যস্ত' প্রধানমত্রী, দিওয়ালির মুখেই তিন রাজ্য সফরে মোদী