খেতে না পেয়ে মরার থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরাই ভালো, লকডাউনের দিল্লি থেকে আর্জি মহিলার

Published : Mar 26, 2020, 05:28 PM IST
খেতে না পেয়ে মরার থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরাই ভালো,  লকডাউনের দিল্লি থেকে আর্জি মহিলার

সংক্ষিপ্ত

বাড়িতে খাবার নেই ২দিন জলের ওপর ভরসা করেই কেটেছে লকডাউনের দিল্লিতে দিশেহারা দিন মজুর পরিবার রেশনের ব্যবস্থা করছে দিল্লি সরকার  

দানাপানি কিছুই নেই। পরপর ২দিন শুধু জল খাইয়েই রাখতে হয়েছে সন্তানদের। সরকার যেন অবিলম্বে তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। লকডাউনের দিল্লির থেকে করুণ আর্জি দীন মজুর শ্রমিক পরিবারের। দিন মজুরির কাজ করে রুজিরুটির ব্যবস্থা করেছিলেন। বাড়িঘর কিছুই নেই। মাথা গোঁজার জন্য ছোট্ট ভাড়া বাড়িই ভরসা ছিল দিনমজুর পরিবারগুলির কাছে। কিন্তু গত কয়েক দিনে পুরো ছবিটাই বদলে গেছে। 

লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কড়া দিল্লি প্রশাসন। এই অবস্থায় কাজ নেই দিন মজুরদের। বাড়িতে চাল থেকে আটা সবই বাড়ন্ত। দানাপানি কিছুই নেই। পরিবারের বড় সদস্যরা  পেটের জালা সহ্য করে নিলেও ছোটেদের সেই ক্ষমতা নেই। গত দুদিন জল খাইয়েই রাখতে হয়েছে সন্তানদের। মা হয়ে আর সহ্য করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে জলের লাইনও কেটে দিয়েছে বাড়িওয়ালা। অবিবম্বে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। অথচ শ্রমিক পরিবারের দাবি তাঁরা নিয়মিত ইলেকট্রিক বিল দেন। ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন সবমিলিয়ে দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় সরকার তাদের পাশে দাঁড়াক না হলে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। আর্জি শ্রমিক পরিবারের। না খেতে পেয়ে মরার থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে মরে যাওয়াই ভালো বলে জানিয়েছেন এক মহিলা। 

অথচ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি প্রশাসন। লকডাউনে রাজধানীর কোনও বাসিন্দা যাতে খালি পেটে ঘুমাতে না যায় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ৭২ লক্ষ মানুষকে অতিরিক্ত রেশন দেওয়া হবে বলেও ঘোঘণা করেছেন তিনি। অন্যদিকে আম আদমি পার্টির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্ত মানুষরা যাতে খাবার পান তার জন্য সরকার ১১টি হেল্প লাইন চালু করেছে। ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমত সংকটে দেশের দিন মজুর ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। সংকটে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকরাও। যানবাহন বন্ধ না থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে। 

আরও পড়ুনঃ করোনায় মিলে গেল কংগ্রেস-বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন জানিয়ে মোদীকে চিঠি সনিয়ার

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে কোনও মানুষই খালি পেটে ঘুমাতে যাবে না, ১লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ কেন্দ্রের

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুরস্কার, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ৫০ লক্ষ টাকার বিমা

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি